জন্মভূমি ডেস্ক : শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় মিয়ানমারে অন্তত ২৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রিত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার এ পর্যন্ত ৭৭ জন নিখোঁজের খবর দিয়েছে। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৬ লাখ ৩১ হাজার মানুষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় কার্যালয় জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
মিয়ানমারে অন্তত নয়টি অঞ্চল এবং রাজ্য বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী নেপিদো, কেন্দ্রীয় মান্দালয় অঞ্চল এবং কায়াহ,কায়িন ও শান রাজ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
চলতি বছরের অন্যতম শক্তিশালী ঝড় টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ চীন, ভিয়েতনাম, লাওস এবং মিয়ানমারজুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে সৃষ্ট বন্যায় উত্তর ভিয়েতনামে শতাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই চলমান নানা সংঘাত আর সংঘর্ষে বিপর্যস্ত মিয়ানমারের হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এর মধ্যেই এই বন্যা নতুন করে সংকট তৈরি করেছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় কার্যালয় আরও জানিয়েছে, ২০২৩ সালে রাখাইন রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় মোচার আঘাতের পর আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল জান্তা সরকার। তাই মানবিক সহায়তা তহবিলের ঘাটতির কারণে ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে এবার তারা বাইরের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।