জন্মভূমি ডেস্ক : সরকারি হিসাবে জুন মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ মাস অর্থাৎ জুনে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসভিত্তিক) দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। যা মে মাসে ছিল ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। সে হিসাবে আগের মাসের চেয়ে মূল্যস্ফীতি কমেছে দশমিক ২০ শতাংশ।
সোমবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেয়া মে মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিরূপ প্রভাবের কারণে চলতি অর্থবছরের মে মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশে গড়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছিল। যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। ২০১১ সালের মে মাসে ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। তবে জুন মাসে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে। সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমলেও বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। জুন মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ হয়েছে। যা গত মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ।
বিবিএসের তথ্যে দেখা গেছে, মে মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ ছিল, এপ্রিল মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ফলে এপ্রিল থেকে বাড়তে মে মাসে খাদ্যপণ্য বৃদ্ধির রেকর্ড গড়েছে। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস। এছাড়া বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম কিছুটা কমেছে। মে মাসে এখাতে মূল্যস্ফীতিরে হার ছিল ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। যা জুন মাসে কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ হয়েছে।
বিবিএস আরও জানায়, যদিও ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মার্চ মাসে আবারও মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয় ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও তা আশাব্যঞ্জক ছিল না। তখন সার্বিক বা সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। সর্বশেষ বাড়তে বাড়তে ক্রেতা নাগালের বাইরে গেছে সব নিত্যপণ্য।
