জন্মভূমি ডেস্ক : শিক্ষার্থীদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ফলে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশের ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইউটিউব কোনোকিছুই ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
টানা ১৪ দিন বন্ধ থাকা ইন্টারনেট খুলে দেওয়ার সাত দিনের মাথায় আবার ফোর-জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করা হয়েছে। জানা গেছে, মোবাইল অপারেটরদের বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফোর-জি নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকবে।
রোববার (৪ আগস্ট) একটি মোবাইল ফোন অপারেটরের শীর্ষ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ফোর-জি সেবা বন্ধের নির্দেশনা আমাদের কাছে এসেছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান পরিস্থিতিতে আবারও মোবাইল নেটওয়ার্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। একইসঙ্গে মেটার আরও তিনটি প্ল্যাটফর্ম মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামও চালানো যাচ্ছে না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-সংঘাতের জেরে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পাঁচ দিন পর গত ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। আর ১০ দিন পর গত ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। কিন্তু বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডাটায় তা বন্ধ ছিল।