জন্মভূমি রিপোর্ট : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী ফাতেমা বেগম (৪২) চায় তার সন্তানের পিতৃপরিচয়। প্রতিবন্ধী ফাতেমা উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের খালকুলা গ্রামের হতদরিদ্র আফসার খানের মেয়ে।
সরজমিনে গিয়ে ফাতেমা বেগমের সাথে কথা বলে জানা যায়,পাশের বাড়ির মৃত গফুর শেখের ছেলে সরোয়ার শেখ তাকে একাধিকবার ধর্ষন করে।
সরোয়ারের স্ত্রী বাবার বাড়ি বেড়াতে গেলে হাঁস মুরগী দেখাশুনার দায়িত্ব দিয়ে যেতেন আমাকে।সেই সুযোগে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে সরোয়ার আমাকে ধর্ষন করত। ধর্ষনের বিষয়টি গোপন রাখতে সে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাত।ধর্ষনের এক পর্যায়ে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরি। পরবর্তীতে লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে বিষয়টি জানাইনি।
বাচ্চা প্রসব করার পরে ধর্ষনের বিষয়টি জানাজানি হলে তৎকালীন চেয়ারম্যান শহিদুল ফকির বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে অনেকবার মীমাংসার চেষ্টা করলেও সরোয়ার সন্তানের পিতৃপরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিষয়টির কোনো সুরহা হয়নি।
প্রতিবেশী আকবর ডাকুয়ার স্ত্রী মালা বেগম বলেন, ফাতেমা একজন প্রতিবন্ধী মানুষ ওর ঘর থেকে পানি পড়ে,একা বাড়ি থাকে ও বাজারে বাজারে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন চালায়, আমরাও তাকে সাহায্য করি ওর সাথে যে ব্যাক্তি এমন কাজ করেছে সে একজন জঘন্য প্রকৃতির লোক।
এ বিষয়ে সরোয়ার শেখকে বাড়িতে পাওনা না গেলেও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান,রাস্তার পাশে এই পাগলির ঘর, অনেক লোক তার কাছে এসেছে।অন্য কারও বাচ্চা হয়ত সে গর্ভে ধারন করছে।সে আমার স্বামীর নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে ঐ বাচ্চা আমার স্বামীর জন্মের নয় বলে আমার দাবি।
স্হানীয়রা জানায় ফাতেমার স্বামী খুলনায় থাকে কিন্তু সে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাস থেকে গর্ভবতী হয়। বিষয়টি ফাতেমার মাধ্যমে আমরা জেনেছি বাচ্চাটি সরোয়ারের এবং সে অসহায় বিধায় আইনের শরণাপন্ন হতে পারেনি। তাছাড়া প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় কোন বিচার পায়নি প্রতিবন্ধী ফাতেমা।
স্হানীয় ইউপি সদস্য সাইদ এস্কেন্দার বলেন,রাস্তার পাশেই ফাতেমার ঘর। কে কখন কি করেছে বোঝাই মুশকিল তবে ফাতেমা বেগম সরোয়াকেই অভিযুক্ত করে।তবে প্রমান না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।
উল্লেখ্য,অসহায় প্রতিবন্ধী ফাতেমা বেগম তার ৯ বছরের শিশু বাক-প্রতিবন্দী হাসানকে নিয়ে ছোট ঝুঁপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছে,এবং শিশু হাসানের পিতৃপরিচয়ের জন্য আইনি সহয়তার দাবি জানান।