॥ মুমূর্ষু শিশুর পাশে জাগ্রত যশোর যুব মহিলা ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা ॥
এক মুমূর্ষু শিশুর পাশে দাঁড়ালো জাগ্রত যশোর যুব মহিলা ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা। যশোর বেজপাড়া বিহারী কলোনী এলাকায় আর্জুন (৯) নামে এক শিশু গত ১৬ই সেপ্টেম্বর প্রাইভেটকার এক্সিডেন্ট করে। শিশুটির ২টো পা ভেঙে গুড়ো হয়েছে এবং পা থেকে মাংস আলাদা হয়ে গিয়েছে। শিশুটার পরিবার খুবই অসহায়। দ্বারে দ্বারে ঘুরে চিকিৎসার খরচ জোগাড় করছে। এমতাবস্থায় জাগ্রত যশোর যুব মহিলা ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি ফারজানা ইয়াসমিন অসহায় শিশুটির চিকিৎসার কিছু অংশ খরচ বহন করতে পাশে দাঁড়ায়। সংস্থাটি নগদ অর্থ সহ শিশুটির সার্বিক দেখভাল করছে।
॥ ঝিকরগাছায় মোস্তফা আশীষের স্মার্টকার্ড বিতরণ ॥
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। ঝিকরগাছা পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে ভোটারদের মাঝে পর্যায়ক্রমে এসব কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পৌরসভাসহ ঝিকরগাছা ইউনিয়ন, গঙ্গানন্দপুর, মাগুরা, শিমুলিয়া ইউনিয়নে স্মার্টকার্ড বিতরণ শেষ হয়েছে। সোমবার গদখালী ইউনিয়নে কার্ড বিতরণ কার্যক্রম কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা চলবে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
স্মার্ট কার্ড নিতে আসা ভোটাররা যাতে সহজেই তাদের কার্ড খুঁজে পান, সে ব্যাপারে সহযোগিতা করতে ৬৮টি ক্যাম্পের মাধ্যমে ২৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবীকে সাথে নিয়ে কাজ করে চলেছেন আওয়ামী লীগের যশোর জেলা কমিটির সদস্য মোস্তফা আশীষ ইসলাম। এসব স্বেচ্ছাসেবীরা প্রথম দিন থেকেই ভোটারদের টোকেন প্রদানের মাধ্যমে সহজে স্মার্টকার্ড পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। ভোটাররা চাইলে তাদের স্মার্টকার্ড ফটোকপি ও লেমিনেটিং করেও দিচ্ছেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। তার এ উদ্যোগের ফলে সহজতর হয়েছে স্মার্ট কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়া। একই সাথে গদখালী ইউনিয়নের প্রয়াত নেতাদের স্মরণে স্মার্টকার্ড নিতে আসা ভোটারদের মাঝে ফুল, চকলেট, বিস্কুট ও পানি সরবরাহ করেন মোস্তফা আশিষ ইসলাম।
॥ জ্বীনের বাদশা প্রতারণা চক্রের সদস্য ভোলার মিরাজ আটক, টাকা ও মোবাইল উদ্ধার ॥
যশোর ডিবির অভিযানে জ্বীনের বাদশা পরিচয়ে প্রতারণাপূর্বক টাকা আত্মসাৎ চক্রের সদস্য মিরাজ (২৪) নামে এক যুবককে আটক করেছে। যশোর ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানানো হয় গত রোববার দুপুরে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি হচ্ছে ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার ইয়াছিন মোল্লার ছেলে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত আসামির নাম ঠিকানা সংগ্রহ ও অবস্থান সনাক্ত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ আবু হাসান ও এসআই নূর ইসলাম। তাদের নেতৃত্বে একদল ফোর্স অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন। এসময় তার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণাপূর্বক নগদ একলাখ টাকা ও দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
॥ ২ জনের যাবজ্জীবন, ৪ জনের ২ বছর কারাদণ্ড ॥
যশোরের ঝিকরগাছা পৌর এলাকার বিপ্লবকে হত্যা ও মিলনকে হত্যা চেষ্টার মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন ও ৪ জনকে ২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে যশোরের একটি আদালত। সোমাবর অতিরিক্ত দায়রা জজ তাজুল ইসলাম এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো একই এলাকার মাসুমের ছেলে ইমামুল ইসলাম ও আব্দুল ওহাবের ছেলে আক্তাফুর এবং অপর সাজাপ্রাপ্তরা হলো নুর মোহাম্মদের ছেলে ইছহাক আলী, আমজাদের ছেলে মালেক ও আলী আহম্মেদের ছেলে তোফায়েল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্তি পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ঝিকরগাছার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কালু ছেলে বিপ্লব হোসেন ও তার ভাইরার ছেলে মিলনের সাথে আসামিদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৪ সালের ১৭ জুন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঝিকরগাছা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্য ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কায়েম আলীর বাড়ির সামনে পৌঁছালে আসামিরা বিপ্লব ও মিলনের গতিরোধ করে গালিগালাজ করে। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে বিপ্লবকে আসামি আক্তাফুর ঝাপটে ধরলে ইমামুল ইসলাম ছুরিকাঘাত করে। বিপ্লবকে উদ্ধার করতে গেছে অপর আসামিরা মিলনকে মারপিট ও ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করে। গুরুতর আহত বিপ্লব ও মিলনকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ১৮ জুন আহত বিপ্লবের পিতা কালু বাদী হয়ে ৪ জনের নামউল্লেখসহ অপরিচিত কয়েকজনকে আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় হত্যার চেষ্টার মামলা করেন। বিপ্লবের অবহস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন থাকায় অবস্থায় ১৬ দিন পর বিপ্লব মারা যায়। দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে বিপ্লবকে হত্যার দায়ে আসামি ইমামুল ইসলাম ও আক্তাফুরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাস করে কারাদণ্ড এবং বিপ্লব হত্যার সহযোগীতা ও মিলনকে হত্যা চেষ্টার দায়ে ইসহাক, মালেক, মিজানুর ও তোফায়েকে ২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ৩ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত ইমামুল ও আক্তাফুর পলাতক রয়েছে।
॥ মাদক মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ॥
ফেনসিডিলের মামলায় এ্যাথলেটিক হোস্টেলের সাবেক কেয়ারটেকার সামাদসহ দুইজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে যশোরের আদালত। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় দুইজনকে খালস দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমাবর অতিরিক্ত দায়রা জজ তাজুল ইসলাম এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গার আব্দুল বারেক শেখের ছেলে সামাদ ও ভোলা দৌলত খানের দক্ষিন জয়নগর গ্রামের নাসির ফারাজির ছেলে মাইক্রোবাস চালাক মোফাজ্জেল হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্তি পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১১ ডিসেম্বর যশোরের র্যাব-৬ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্রীড়া ভবনের সামনে অবস্থান নেন। দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ্যাথলেটিক হোস্টেলের সামনে থেকে একটি মাইক্রোবাস বেরিয়ে যাওয়ার সময় থামায় র্যাব। মাইক্রোবাস তল্লাশি করে পিছন থেকে বিশেষ কায়দায় তৈরী কাঠের বক্স থেকে ৯৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। চালক মোফাজ্জেলের স্বীকারোক্তিতে যশোর জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে এ্যাথলেটিক হোস্টেলের রুমের তালা ভেঙ্গে তল্লাশি করে আরও দেড় লিটার ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি শাহজাহান আলী বাদী হয়ে আটক মোফাজ্জেলসহ ৫ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহন শেষে আসামি সামাদ ও মোফাজ্জেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি সবুজ ও জনিকে খালাস দিয়েছে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত দুইজনই পলাতক রয়েছে।
॥ ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদাদাবির অভিযোগ ॥
ব্যবসায়ীর কাছে ৪ লাখ টাকা চাঁদাদাবির অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার যশোর সদরের নিমতলা গ্রামের কাচামাল ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান ধাবক বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ অভিযোগে তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন, নিমতলা গ্রামের হাদিউজ্জামানের ছেলে ইমরান আলী, আবু বক্কার সরদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম, মৃত রুপোই মোল্যার ছেলে আনিচুর রহমান মুক্তি, গোলাম হোসেনের ছেলে রাজিব হোসেন ও দেয়াপাড়া গ্রামের কাজী সেলিম রেজার ছেলে মোহাম্মদ আলীকে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তিনি লিজ নেয়া জমিতে শাকসব্জি চাষ ও ব্যবসা করে আসছেন। আসামিরা এলাকার সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়া কিছুদিন আগে তার কাছে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দেয়ায় গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আসামিরা নিমতলা বাজার সংলগ্ন বাদীর জমিতে আসে। এসময় দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট এবং থাকা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা স্বরূপ কেড়ে নেয়। একই সাথে আরো ১ লাখ টাকার সবজি নষ্ট করে ফেলে। এ সময় চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা খুন-জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
॥ কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে মামলা ॥
যশোরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী শাহরিম আক্তার লিমা (১৭)কে কলেজের সামনে থেকে অপহরনের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। গত রোববার দিনগত রাতে মামলাটি করেন, যশোর সদর উপজেলা বিজয়নগর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম। মামলায় আসামি করেন,সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর দক্ষিণপাড়ার আশরাফের ছেলে তপু, একই গ্রামের মৃত আকবরের ছেলে শরিফুল ইসলামসহ তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগী ৩/৪জন।
মামলায় সিরাজুল ইসলাম উল্লেখ করেন,তার মেয়ে শাহমিন আক্তার লিমা যশোর সদর উপজেলার বারীনগর কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজে চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। লিমা কলেজে আসা যাওয়ার পথে তপু তার সহযোগীদের সহায়তায় বাদীর মেয়েকে বিভিন্নভাবে উত্যক্তসহ আজে বাজে কথাবার্ত বলতো এবং প্রেমের প্রস্তাব দিতো। লিমা তপুর প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তপু তার সহযোগীদের সহায়তায় বাদীর মেয়েকে জোর করে অপহরণ করে ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। বাদীর পরিবার বিষয়টি জানার পর তপুকে এহেন কার্যকলাপ করতে বাধা নিষেধ করেন এবং শরিফুল ইসলামকে বিষয়টি জানায়। কিন্তু আসামিরা বাদীর কথায় কোন কর্নপাত না করে উল্টো তার সহযোগীরা তপুকে উস্কানি দিতে থাকে। বাদীর মেয়ে লিমা গত ২৭ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১ টায় বারীনগর কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজের সামনে পৌছালে তপু তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামিদের সহায়তায় বাদীর মেয়ে লিমাকে দাঁড় করিয়ে সহযোগী আসামিদের সাথে পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লিমাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ফুসলিয়ে বাদীর মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক অপহরণ কওে একটি গাড়িতে তুলে দ্রুত চলে যায়। ২৮শে সেপ্টেম্বর সকালে শরিফুল ইসলামসহ তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামিরা বাদীর বাড়িতে এসে উক্ত বিষয় বাড়াবাড়ি করলে বাদীর পরিবারকে মারপিট খুন জখমসহ হুমকি দেয়।
॥ আদালতের নির্দেশে থানায় মোটরসাইকেল চুরির মামলা রেকর্ড ॥
যশোরে প্রকাশ্যে দিবালোকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারী কেয়ার ইউনিটের সামনে থেকে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় প্রায় ১ মাস ২৬ দিন পর আদালতের নির্দেশে কোতয়ালি থানায় চুরি মামলা হয়েছে। মামলার বাদী,যশোরের ঝিকরগাছা থানার আজমপুর গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে এহসানুল কবির।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, এহসানুল কবির এমএম কলেজ যশোর এর গণিত বিভাগে মাষ্টার্সে অধ্যায়নরত একজন ছাত্র। তিনি যশোর শহরের পালবাড়ী নতুন খয়েরতলার বকুল হোসেন এর মেস এ অবস্থান করে লেখাপড়া করে। বাদী কলেজে যাতায়াত এবং টিউশুনি করার সুবিধার্থে তার নিজ নামে একটি পালসার নামক মোটর সাইকেল যার নং (যশোর ল-১২-৯৮৫২) মূল্য ১লাখ ৭১ হাজার টাকা। বাদীর এক বন্ধুর মাতা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ভর্তি হওয়ায় গত ৬ আগস্ট বাদী তার মোটর সাইকেল হাসপাতালের করোনারী ইউনিটের নীচতলায় রেখে তালা মেরে বন্ধুর মাকে দেখতে যান। দুপুর ২ টায় বাদী ফিরে এসে দেখেন তার মোটর সাইকেলটি আর পাননি। বাদী এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় সাধারণ ডাইরী করতে গেলে সাধারণ ডাইরী না নিয়ে অভিযোগ গ্রহন করেন। তবে মামলা হিসেবে নথিভূক্ত না করায় বাদী সেপ্টেম্বর মাসে আদালতের স্মরনাপন্ন হন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ প্রদান করলে রোববার দিবাগত গভীর রাতে থানায় চুরি মামলা রেকর্ড করা হয়।