যশোর অফিস : যশোর শহরকে যানজটমুক্ত করতে অবৈধ ইঞ্জিন চালিত ভ্যান-রিকশা ও নিবন্ধনবিহীন ইজিবাইকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যশোর পৌরসভা ও জেলা ট্রাফিক বিভাগ। গত রোববার জেলা প্রশাসনের আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকে অভিযান চালানো শুরু হয়। অভিযান শুরু হওয়ার পর দুপুর ১২টার মধ্যে পুরো শহরের যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে ট্রাফিক পুলিশ। সোমবার সকাল থেকে হাসপাতাল মোড়, দড়াটানা মোড়, কালেক্টরেট এলাকা, ঈদগাহ মোড়, চোরাস্তা মোড়ে এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে পৌরসভা ও ট্রাফিক পুলিশ।
অভিযানে শহরের মধ্যে চলাচলকারী অবৈধ ইঞ্জিন চালিত অটোরিকশা ভ্যানের মোটর ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ খুলে নেওয়া হয় এছাড়া একাদিক রিকশা ও নিবন্ধনবিহীন ইজিবাইক আটক করা হয়। অন্যদিকে যশোর গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোতে অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ট্রাফিক পুলিশ। এ সময় অবৈধ পার্কিং করা যানবাহনগুলোকে মামলা দেওয়া হয়।
যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বিএম কামাল আহমেদ বলেন, মোটর চালিত রিকশা-ভ্যান অনুমতি নেই। এর ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ব্যাটারি চালিত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে এর গতি বেড়ে যায়। ফলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মানুষের জানমালের ক্ষতি সাধিত হয়। দুর্ঘটনায় অনেকের অঙ্গহানিসহ পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়। জন জীবনের জন্য ব্যাটারি চালিত রিকশা মারাত্মক হুমকি। তাছাড়া বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে এটি ভুমিকা রাখবে। দুর্ঘটনা এড়াতে এবং যানজট কমাতে অবৈধভাবে লাগানো এসব ব্যাটারি ও মোটর খুলে নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ইঞ্জিন চলিত অটোরিকশা থেকে খুলে নেওয়া মোটরগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে। অভিযান পরিচালনা করার আগে সতর্ক করতে এর আগে মাইকিং করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে যশোরের ট্রাফিক পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাফুজুর রহমান ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (শহর ও যান) শুভেন্দ কুমার মুন্সি সাংবাদিকদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যশোর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের নির্দেশক্রমে ইঞ্জিন চালিত রিকশা ও নিবন্ধনহীন ইজিবাইক ও মহাসড়কে অবৈধ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান শুরু হওয়ার কয়েকঘন্টার মধ্যে পুরো শহরকে আমরা যানজটমুক্ত করা হয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান চলমান থাকবে। গতকাল সোমবার এমন অভিযানের ফলে শহরে মানুষের চলাচল বেড়ে যায় যানজট মুক্ত হয়ে পড়ে শহর। অন্যদিনের তুলনায় শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনায়াসে অন্যান্য যানবাহন চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ দেখা গেছে।