
যশোর অফিস : যশোরে মাছের ঘের ব্যবসায়ীর হাতের আঙ্গুল কেটে নিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি সন্ত্রাসীরা এবার রাতের আধারে তার বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়ার সদুল্যাপুর নাথপাড়ার অসীম সরকারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা পুলিশ। ফলে জীবনাশঙ্কায় ভুগছেন অসীম সরকার ও তার পরিবার। এ ঘটনায় শুক্রবার কোতোয়ালি থানায় অসীম সরকার অভিযোগ দিয়েছেন। এদিকে কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলছেন, আগুন দেয়ার ঘটনায় আমরা মামলা নিইনা। পাশাপাশি তিনি আরো বলেছেন ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনাও মিথ্যা।
অভিযোগকারী অসীম সরকার জানিয়েছেন, বাঘারপাড়ার বারভাগ-নিত্যানন্দপুরে সদর উপজেলার বসুন্দিয়ার জামায়াত নেতা ইউসুফ আলীর কাছ থেকে একটি মাছের ঘের ৫ বছর মেয়াদে লিজ নিয়েছেন। এক বছর আগে লিজ নিয়ে সেখানে অনেক টাকা ব্যয়ে মাছের চাষ করছেন। এরই মধ্যে ঘেরটি ফেরৎ নেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন মালিক ইউসুফ আলী। কিন্তু ৫ বছর মেয়াদে এক বছর হতেই ফেরৎ দিতে রাজি রাজি হননি অসীম সরকার। ফলে অসীমকে খুন করতে বাঘারপাড়ার নিত্যানন্দুপুর গ্রামের হারুন মোল্যার ছেলে সবুজের সাথে ৬০ হাজার টাকা চুক্তি করেন ইউসুফ আলী। গত ২৩ জুলাই বিকেলে আলাদিপুর বাজারে বসে অসীমকে ঘের ছেড়ে দিতে বলে সবুজ। রাজি না হওয়ায় ২৬ জুলাই রাত ১১টার দিকে সবুজের নেতৃত্বে ৪/৫ জন অসীমের ঘেলে যায়। এসময় অসীমকে ডেকে কথা আছে বলে কিছু দুরে নিয়ে যায়। এরপর তার হাত বেধে একটি ইটের উপর হাত থেকে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে নিয়ে যায়। এই ঘটনার মামলায় সবুজ, আব্দুর রহিম ও আব্দুল আজিজকে পুলিশ আটক করে। আটক তিনই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতৈ জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে সবুজ জানিয়েছে বসুন্দিয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের নেতা ইউসুফ আলী মাছের ঘেরটি ফেরৎ না পেয়ে ৬০ হাজার টাকা চুক্তিতে অসীম সরকারকে খুন করতে তাদের ভাড়া করেছে।
অসীম সরকার আরো জানিয়েছেন, ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে ৪/৫ জনে তার ঘরে আগুন দিয়েছে।