যশোর অফিস
যশোরে যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে শহরের একেবারে শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ১০ জন যুবলীগ কর্মী আহত হয়েছে।আহতদের মধ্যে ৫জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনেরর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকার রেফার করা হয়েছে।
বুধবার বেলা দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে
শহরের প্রাণ কেন্দ্র ঈদগাহ মোড়, ঝালাইপট্টি, মুসলিম অ্যাকাডেমি স্কুল মোড় ও পোস্ট অফিসপাড়া ঈদগাহ মোড় এলাকায় এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে আহতরা হলো খাইরুল ইসলাম (২০), আকিবুল ইসলাম (১৭), রাব্বি (১৮) শামীম হোসেন (১৮), রাসেল (১৭) জয় আহমেদ (১৭),গোষ্ঠ গোপাল (২০),সোহাগ (২১),হ্যাপি (১৭),ও টিটো (১৮),।এদের মধ্যে টিটো ও খায়রুলকে উন্নত চিকিৎসার্থে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
সংগঠনের কয়েকজন সদস্য জানান, দীর্ঘ ১৮ বছর পর জেলা যুবলীগের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আজ যশোরে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সভায় কেন্দ্রীয় নেতা শেখ সোহেল উপস্থিত হওয়ায় যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসব বিরাজ করছিল। পদপ্রত্যাশীরা সভাস্থল যশোর সিসিটিএস মিলনায়তনের বাইরে অবস্থান নিয়ে স্লোগানে মুখরিত করে রাখে এলাকা। একইসাথে বিভিন্ন গ্রুপের কর্মীরা মিছিলও বের করে। কেন্দ্রীয় নেতাকে স্বাগত জানাতে বের হওয়ায় দুটি মিছিল যশোর পোস্ট অফিস পাড়া এলাকায় মুখোমুখি হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এসময় ১০ যুবলীগ কর্মী আহত হয়।
যুবলীগ নেতা, যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল জানান, প্রতিপক্ষ শফিকুল ইসলাম জুয়েলের কর্মীরা তার কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা ১০ জনকে ছুরিকাঘাতসহ বেশ কয়েকজনকে মারপিট করে। অবশ্য হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েল। তিনি বলেন, দলের মধ্যে অনেক মতভেদ রয়েছে। ফলে,কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলা যাচ্ছে না। পুরো শহর সিসিটিভির আওতায় রয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে আশা করি। আমার কর্মীরা এ ঘটনা ঘটালে তার দায় আমার।এদিকে, আহতদের মধ্যে ৫জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অপর দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকার রেফার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের ডা. আব্দুর রশিদ। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম অন্য সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন হাসপাতালে আহতদের সাথে কথা বলেছেন। এদিকে যশোর পুলিশের একপ্রেস ব্রিফিং মিডিয়া সেল থেকে বলা হয় শহরের আর.এন রোডের ছিনতাইকারী হ্যাপি তার ব্যক্তিগত পূর্ব আক্রোশে শামীমকে ছুরিকাঘাত করে। এরই জের ধরে শামীমের লোকজন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জজ কোর্ট মোড়ে টিটু, হ্যাপি, খাইরুলদের ছুরিকাঘাত করে জখম করে। এ ঘটনার সাথে যুবলীগের বর্ধিত সভার কোন সম্পর্ক নেই বলে জানান হয়। বলা হয় এমনকি তারা কোন রাজনৈতিক দলের মতাদর্শের কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে মিডিয়া সেল থেকে ব্রিকিংএ বলা হয়।
যশোরে যুবলীগের বর্ধিত সভাকে ঘিরে সংঘর্ষ, ছুরিকাঘাতে ১০ জন আহত
Leave a comment