
রাজশাহী সিটি থাকল খায়রুজ্জামান লিটন পুন:নির্বাচিত
সিলেটের নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান
জন্মভূমি ডেস্ক
দেশের রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। রাজশাহী সিটি করপোরেশনে নৌকার প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪০৪ ভোটের ব্যবধানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলমকে রাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে প্রথমবার মনোনয়ন পেয়েই সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাজিমাত করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি ৬৯হাজার ১২৯ ভোটের ব্যবধানে জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুলকে পরাজিত করেন।
॥ রাজশাহী সিটি থাকল খায়রুজ্জামান লিটনের হাতেই ॥
জন্মভূমি ডেস্ক
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। নৌকার প্রার্থী লিটন ১৫৫টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৯৩ ভোট। এছাড়া জাকের পার্টি মনোনীত গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী লতিফ আনোয়ার ১১ হাজার ৭১৩ ও জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ভোট। রাজশাহীতে মোট ৫২ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) বিকাল থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়াম থেকে এ ফল ঘোষণা করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।
বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা শেষে বিজয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই এটা স্বাভাবিক। সেটা মেনে নিতে হবে। নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য প্রার্থী, ভোটারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
এর আগে, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ। নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ১৫৫ কেন্দ্রের এক হাজার ১৫৩টি কক্ষে চলে ভোট। ৯৬ দশমিক ৭২ বর্গ কিলোমিটারের নগরীতে মোট ভোটার ছিলেন তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭, নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ ও তৃতীয় লিঙ্গের ছিলেন ছয় জন। এবার নতুন ভোটার ছিলেন ৩০ হাজার ১৫৭ জন। এই নির্বাচনে ২৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১১১ ও ১০টি সংরক্ষিত আসনে নারী কাউন্সিলর হিসেবে ৪৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন রবিউল ইসলাম।
এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন তালা প্রতীকে ৯৮ হাজার ৩৬০টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। বিএনপি সমর্থিত মোসাদ্দেক হেসেন বুলবুল বাঘ প্রতীকে পান ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট। সেবার ভোট পড়ার হার ছিল ৮১.৬১ শতাংশ।
২০১৩ সালে ১৮ দলীয় জোটের সমর্থনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে। ওই বছর ভোট পড়ে ৭৬.০৯ শতাংশ। এরপর সর্বশেষ ২০১৮ সালে খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে পান এক লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পান ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। ২০১৮ সালে ভোট পড়েছিল ৭৮.৮৬ শতাংশ।
॥ সিলেটের নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান ॥
জন্মভূমি ডেস্ক
প্রথমবার মনোনয়ন পেয়েই সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাজিমাত করলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। যুক্তরাজ্যে বসবাস করা এই আওয়ামী লীগ নেতা ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট পেয়ে নগরপিতা নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট। বুধবার (২১ জুন) রাতে এই ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বুধবার সকাল ৮টায় সিলেট সিটি নির্বাচন শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে লড়েছেন সাত জন। আগেই নির্বাচন বর্জন করে মাঠ ছেড়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান।
দলীয় মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম। এছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মো. আবদুল হানিফ (কুটু), মো. ছালাহ উদ্দিন (রিমন), মো. শাহ্ জামান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
অপরদিকে কাউন্সিলর পদে ৩৬০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে ২৭৩ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন নারী প্রার্থী।
এর আগে, নির্বাচন কমিশনের মনিটরিং সেল থেকে কোনো অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মিলনায়তনে সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেট সিটিতে নির্বাচন। সিসিক নির্বাচনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। মোট ৪২ ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র ছিল ১৯০টি। এর মধ্যে স্থায়ী মোট ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৬৭টি এবং অস্থায়ী ছিল ৯৫টি। ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সিসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ মনিটরিং করা হয়।