রামপাল প্রতিনিধি:
রামপালে একটি রাস্তার উন্নয়ন কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যাপক স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দূর্নিতীর অভিযোগ উঠেছে ৷
রামপাল সদর ইউনিয়নের তেতুলিয়া ব্রীজ থেকে কাদিরখোলা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি আঞ্চলিক সড়ক নির্মাণের কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর রাস্তাটির কাজ বন্ধ রেখে নিম্মমানের খোয়া, মালামাল যত্রতত্র ফেলে রেখেছে ৷ এতে রাস্তাটি দিয়ে চলতে গিয়ে যানবাহন ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ৷
রামপাল এলজিইডি অফিস সূত্রে জানাযায়, এলজিইডি উন্নয়ন প্রকল্প ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ওই সড়কটির উন্নয়ন কাজের টেন্ডার দেয়া হয় ৷ দরপত্রে নলছিটি ঝালকাঠির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রিন্স এন্ড কোং কাজ পায় ৷ ওই কাজের চুক্তিমূল্য ১ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ২ শত ৩৭ টাকা নির্ধারন করা হয় ৷ ওই চুক্তিপত্রে ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ না করে ২০১৯ সালের শেষের দিকে মিলন নামক একজনকে সাব কন্ট্রাক্ট দেয় ৷
ওই ব্যাক্তি রাস্তাটি না খুড়েই তার উপর নিম্নমানের খোয়া ফেলে রেখে চলে যায় ৷ তারপর থেকেই দূর্ভোগের প্রহর যেন শেষই হচ্ছে না ৷ স্থানীয় বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন , শুধু জুন মাস আসলেই বিল তোলার জন্য এখানে এসে কাজ না করে কিছু নিম্নমানের খোয়া ফেলে রেখে উধাও হয়ে যায় ৷ তাদের জন্য বর্ষাকালে আমাদের জনসাধারনের চরম দূর্ভোগের মুখে পড়তে হয় ৷ স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে প্রিন্স এন্ড কোং এর সাব কন্ট্রাকটর মিলন এর সহযোগী সহযোগী সাব কন্ট্রাকটর রানা ক্যামেরা দেখামাত্রই দ্রুত সটকে পড়ে ৷ বিষয়টি জানতে প্রিন্স এন্ড কোং এবং সাব কন্ট্রাকটর মিলন এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি ৷ রামপাল উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী গোলজার হোসাইন এর দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, কাজটির এরকম অবস্থা দেখে আমরা বেশ কয়েকবার তাগেদাপত্র দেই ৷তাতে তারা কাজ শুরু করে আবার বন্ধ করে দেয় ৷ পরবর্তীতে আবারও তাগেদপত্র দিলে তারা সম্প্রতি মালামাল নিয়ে এসেছে এবং দ্রুত কাজ সম্পন্ন করবে বলে জানিয়েছে ৷ কাজটি যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় তার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবো ৷