
রামপাল প্রতিনিধি : বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সোনাতুনিয়া আমেনা খাতুন নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ ওয়ালি উল্লাহ শেখের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ এনেছেন একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাওলাদার সাইদুর রহমান। তিনি গত মঙ্গলবার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও পরদিন গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর বিদ্যালয়ের প্যাডে লিখিত এ অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
অভিযোগ পত্র সূত্রে জানাগেছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর আনুমানিক দুপুর ১২টায় বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনির কর্মচারী (নৈশ প্রহরী) মনিরুজ্জামানকে বিশেষ কাজে প্রধান শিক্ষক হাওলাদার সাইদুর রহমান বিদ্যালয়ে আসতে বলেন। কিন্তু মনিরুজ্জামান না আসায় তাকে প্রধান শিক্ষক মৌখিকভাবে হাজিরা
খাতায় স্বাক্ষর করতে নিষেধ করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ ওয়ালি উল্লাহ শেখকে জানান। কিন্তু প্রধান শিক্ষককে কোন কিছু না জানিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর আনুমানিক বেলা ৩টায় সভাপতি অজ্ঞাত ১২/১৫ জন লোক নিয়ে প্রধান শিক্ষকের অফিসে হামলা চালায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় ৪/৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী বাধা দিলে তাদের উপর চড়াও হয় এবং ধাক্কা দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। একপর্যায়ে শ্রেনিকক্ষে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে সাইদুর রহমান লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এছাড়া প্রধান শিক্ষক হাওলাদার সাইদুর রহমান অভিযোগ পত্রে সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ একটি নতুন কক্ষ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ আনেন। যে কারণে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে বলেও তিনি জানান। তাই তিনি বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উল্লেখিত ৩টি কার্যালয়ে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।
অভিযোগ দাখিলের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক হাওলাদার সাইদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে অনাকাক্সিক্ষত কোন ঘটনা যাতে না ঘটে তাই তিনি প্রধান শিক্ষকের হাতে থাকা সংরক্ষিত ছুটি থেকে একদিনের গত সোমবার বিদ্যালয় বন্ধ রাখেন। পরবর্তীতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশনায় বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয় ।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে অভিযুক্ত সভাপতি মোঃ ওয়ালি উল্লাহ কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য প্রধান শিক্ষক মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছে । এর কোন সত্যতা নেই এবং এলাকাবাসীও সকল ঘটনা জনেনবলেও তিনি উল্লেখ করেন।
একইভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় এবং অতি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।