
জন্মভূমি ডেস্ক : ক্সবাজারের কাছের উপজেলা রামুর রশিদনগর ইউনিয়নের ধলিরছড়া রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে একই পরিবারে চারজনসহ ৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি রেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় সিএনজি অটোরিকশাটি রেল বিটে উঠে গেলে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিহতদের লাশগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল।
শনিবার (২ আগস্ট) বেলা দেড়টার দিকে রশিদনগরের ধলিরছড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈয়বুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকাগামী ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি রেল ক্রসিং অতিক্রমকালে যাত্রীবাহী সিএনজিকে ধাক্কা দিয়ে টেনেহিঁচড়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়। এতে সিএনজিতে থাকা যাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে নানাপ্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে থাকে।
দুর্ঘটনার পরপর নিহতদের পরিচয় জানা না গেলেও পরে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন ভারুয়াখালীর সাবেক পাড়ার জাফর আলম সওদাগর জানান, তার দুই মেয়ে আসমাউল হোছনা ও রেনোয়ারা এবং আসমার দুই শিশু সন্তান এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। অপরদিকে ঈদগাঁও মেহেরঘোনার সিএনজি চালকও নিহত হয়েছেন। তবে তার নাম নিশ্চিত করা যায়নি।
অপরদিকে ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রেল লাইনে অবস্থান নিয়ে রেল চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
ইসলামাবাদ রেল স্টেশন মাস্টার মো. আব্দুল কাইউম জানান, ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ৮১৩ ট্রেনটি সাড়ে বারোটার দিকে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসে। তবে দুর্ঘটনায় কতজন নিহত হয়েছেন তিনি জানেন না।
এদিকে বেলা আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ‘প্রবাল এক্সপ্রেস’ ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছালে স্থানীয় জনতা ট্রেনটি আটকে দেয়। তারা লাশ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন ছেড়ে না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ঈদগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. ফজলুল হক ঘটনাস্থল থেকে জানান, নিহতদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হওয়ায় এখনও পুরোপুরি পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
স্থানীয়দের দাবি, এই লেভেল ক্রসিংয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারিদের নিরাপত্তায় কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে।