
জন্মভূমি রিপোর্ট : অবশেষে ৩২ঘন্টা পর রূপসা নদীতে ডুবে যাওয়া নিঃখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র মোঃ শাহ দিশানের (১৬) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পূর্ব রূপসা ঘাট এলাকা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ও নিঃখোঁজের স্বজনরা ঘটনা স্থলে আসেন।
সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ মে দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে পূর্ব রূপসা বাজার ঘাট এলাকার অদুরে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ শাহ দিশান খুলনা মহানগরীর ৯৬২ নং চারাবাটি নিউমার্কেট এলাকার হুমায়ুন কারীর ছেলে। অন্যান্য বন্ধুরা হলেন খুলনা নিউমার্কেট এলাকার বাসিন্দা মোঃ সাইদুর রহমানের ছেলে তৌকির রহমান (১৫), পশ্চিম টুটপাড়া মাওলা বাড়ির মোড় এলাকার বাসিন্দা তফসির মোল্লা ছেলে নাজমুল সাকিব তামিম (১৬), বাগেরহাট মোংলার বাসিন্দা জহিরুল হকের ছেলে মোঃ তানজিল (১৭)।
নগরীর আহসান আহমেদ রোডস্থ তাবলীকুল কুরআন একাডেমী মাদ্রাসার হেফজখানায় পড়ুয়া ওই চার বন্ধু মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে রূপসা নদীতে নৌকা যোগে ঘুরতে থাকে। একপর্যায়ে তারা পূর্ব রূপসা বাজার ঘাটের অদুরে নদীতে নেমে গোসল করতে থাকে। গোসলের আগে নদীতে নেমে তারা মোবাইলে ছবিও তোলে। চার বন্ধুর দুইজন সাঁতার জানলেও অপর দুইজন সাঁতার জানতো না। ৪ বন্ধু আনন্দ ফুর্তির মধ্যে গোসল করতে করতে নদীর গভীরে পৌঁছে দিকবিদিক হয়ে বাঁচার জন্য আকুতি করতে থাকে। স্থানীয় দুইজনের সহযোগীতায় তিন বন্ধু তীরে উঠলেও দিশান পানিতে তলিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী শেখ খলিল জানান, ওরা চার বন্ধু রূপসা নদীর পূর্ব প্রান্তের বাজার ঘাট এলাকার নিকটে গোসল করছিল। আমিও তখন গোসল করছিলাম। হঠাৎ ওদের দুই বন্ধু বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকে। তাদের চিৎকার শুনে একজনকে বাঁচাতে পারলেও অপরজনকে বাঁচাতে পারিনি। মুহুর্তেই পানিতে তলিয়ে যায় সে। প্রত্যক্ষদর্শী আরেকজন শাকিল হোসেন বলেন, আমিও চিৎকার শুনে ছুটে আসি। কিন্তু ততক্ষণে দিশান পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে খবর পেয়ে নিঁখোজ দিশানের পিতা হুমায়ুন কারী ঘটনাস্থলে পৌঁছে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। জিবিত উদ্ধার হওয়া অপর তিনজনের অভিভাবক আসার পর তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।