
রূপসা প্রতিনিধি
রূপসায় দোকানের বাকী পাওনা টাকা চাওয়ার জের ধরে ছুরিকাঘাতে দোকানদার হৃদয় শেখকে (১৯) হত্যা ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের পিতা হারুন শেখ বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ২১ এপ্রিল এই মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৭/৭৬, তাং ২১/০৪/২০২২। এদিকে পুলিশ ও র্যাব পৃথক অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত ৫ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। এরমধ্যে ২১ এপ্রিল র্যাব-৬ পূর্ব রূপসা ঘাট এলাকা থেকে বাগমারা গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম শেখ এর ছেলে মোঃ রিয়াদ হোসেন তন্ময় (২২) ও গহর আলী মীরের ছেলে মোঃ ইমরান আলীকে (২০) গ্রেফতার করে। এর আগে পুলিশ বাগমারা গ্রামের আড্ডা গলির ইউসুফ সরদারের ছেলে শাহিন ও তুহিন এবং আফসার শেখ এর ছেলে নাজমুল শেখকে (২২) গ্রেফতার করে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, বাগমারা গ্রামের মীর বাড়ির মৃত আবুল কালাম সরদারের ছেলে মিঠু সরদার ও তার খালাতো ভাই হারুন শেখ এর ছেলে হৃদয় পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ড পুলিশ ফাঁড়ির সামনে চায়ের দোকানদারি করে আসছিলো। গত কয়েক মাস ধরে পূর্ব রূপসা বাজারের আড্ডা গলির মৃত পলাশের ছেলে হৃদয় ও অন্তর মিঠুর দোকানে বাকিতে চা ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী খায়। ২০ এপ্রিল দুপুরে দোকানদার মিঠু খরিদ্দার হৃদয় ও অন্তরের নিকট পাওনা টাকা চাইলে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে ইফতারির পর সন্ধ্যা ০৭টার দিকে হৃদয় ও অন্তরসহ ১০-১২ জন দোকানে এসে মিঠুকে মারপিটসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এসময় মিঠুকে তাদের কবল থেকে রক্ষা করতে খালাতো ভাই হৃদয় শেখ এগিয়ে গেলে তার পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সঙ্গবদ্ধ দলটি। এসময় নাজমুল প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়। পরে হৃদয়ের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আহত মিঠু ও হৃদয়কে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হৃদয়কে মৃত বলে ঘোষণা করে। এছাড়া স্থানীয়রা নাজমুলকে উদ্ধার করে রূপসার একটি স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে নাজমুল পুলিশের হাতে আটক হয়। এর আগে পুলিশ শাহীন ও তুহিনকে গ্রেফতার করে।