
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি : শিরোমণি হাফিজিয়া মাদ্রাসা আবু তালহা (১৫) কে শয়তানের নিঃশ্বাস দিয়ে তুলে নিয়ে যায় মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা। ভাগ্যক্রমে বুদ্ধিমত্তায় ও কৌশলে তাদের হাত থেকে পালিয়ে রক্ষা পায় তালহা। মাদ্রাসার ছাত্র আবু তালহাকে শিরোমণি থেকে কালো রংএর গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় বেনাপোল বন্দরের কাছে। পরে সে অচেতনতার ভানধরে কৌশলে পালিয়ে এসে পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন।
পুলিশ এবং তালহার পরিবার জানায়, গত ১৯ আগস্ট তালহাকে মাদ্রাসার সামনে থেকে শয়তানের নিঃশ^াসের মাধ্যমে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। সেখানে দুই দিন পর তালহা স্বাভাবিক হলে বুঝতে পারে সে বেনাপোল বন্দরের কাছে একটি অন্ধকার বন্ধঘরে আটক আছে। এ সময় সে পাশের অপর একটি রুম থেকে ৩/৪টি বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনতে পায় বলে জানায়। কিছুক্ষণ পরে তার ঘরে একটি লোক এসে তাকে একটি ঔষধ এবং পানি দিয়ে খেতে বলে। তালহা কৌশলে পানি খেয়ে ঔষধটি ফেলে দিয়ে ঘুমের ভ্যান ধরে। পরে সকলকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
তালহার খালাতো ভাই আবু জাফর বলেন, তালহাসহ ৬/৭জন বাচ্চাকে একটি গাড়ীতে করে বেনাপোল সীমান্তের কাছে আনা হয়। এ সময় তারা মোবাইলে বলতে থাকে আমরা বর্ডারের কাছ পৌছে গেছি তাড়াতাড়ি মালগুলো নিয়ে যাও। গাড়ীর ড্রাইভার সামনে বসে সিগারেট খাচ্ছিল আর পাচারচক্রের দুই সদস্য গাড়ীর দরজা খুলে বাইরে যায়। এ সময় তালহা গাড়ী থেকে নেমে দৌড়ে পালিয়ে স্থানীয়দের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। স্থানীয়রা তাকে নিকটস্ত বেনাপোল থানায় নিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। পরে পুলিশ আমাদেরকে খবর দিলে গত ২৩ আগস্ট তাকে বেনাপোল থানা থেকে নিয়ে আসি। শয়তানের নিঃশ্বাস থেকে রক্ষা পাওয়া শিরোমণি হাফিজিয়ার মাদ্রাসার ছাত্র আবু তালহা নড়াইল জেলার কালিয়ার বাগডাঙ্গা গ্রামের লিটন মোল্যার পুত্র।