শরণখোলা (বাগেরহাট) : পিঠা-পুলি-পায়েশ বাঙালী পরিবারের এক চিরায়ত ঐতিহ্য। আগে নতুন ফসল ঘরে তোলার পর গ্রামবাংলার প্রতি বাড়িতে হতো নবান্ন উৎসব। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব ঋতুতেই বাঙালীর ঘরে ঘরে চলতো কোনো না কোনো পিঠা-পুলির উৎসব আয়োজন। কিন্তু এখন বাঙালীর ঘরে আর তেমন একটা দেখা যায় না সেসবের আয়োজন। গ্রামের বাড়ি বাড়ি এখন আর হয়না নাবন্ন উৎসব। জীবন যতো আধুনিক আর যান্ত্রিক হচ্ছে, বাঙালীও ভুলতে বসেছে পুরনো দিনের সেই মধুময় স্মৃতি এবং হরেক রকম পিঠা-পুলির নাম। তাই বলে বাঙালীর অস্থিমজ্জা থেকেতো আর একেবারেই মুছে যায়নি সেসব রিতী-রেওয়াজ!
সেই বিশ্বাস নিয়ে এবং হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে বাগেরহাটের শরণখোলা সরকারি কলেজে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়পিঠা উৎসবের। বাহারি সাজ আর রকমারি পিঠা-পুলি-পায়েশে সেজেছিল ২৫টি স্টল। ম ম ঘ্রানে মাতোয়ারা হয় হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু। কলেজ ক্যাম্পাস জুড়ে সৃষ্টি হয় এক উৎসবের আমেজ।
পিঠা উসৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা ও শরণখোলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নূরুল আলম ফকির বলেন, বর্তমান প্রজন্মের কাছে বাঙালিয়ানাকে পরিচিত করতে এবং গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া পিঠা-পুলি নিয়ে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরী করার মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ২০২০ সালে প্রথম শুরু হয় এই পিঠা উৎসবের। কিন্তু করোনার কারণে মাঝখানে দুই বছর উৎসব পালন করা সম্ভব হয়নি। সেই ধারা অব্যাহত রাখতে এবছর থেকে আবার শুরু হয়েছে পিঠা উৎসব। আগামী বছর আরো ব্যাপক পরিসরে দুদিনব্যাপী আয়োজন করা হবে পিঠা উৎসবের।
সকাল ৯টায় কলেজের অধ্যক্ষ মো. নূরুল আলম ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নূর-ই আলম সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন ও খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন।
শরণখোলা সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব
Leave a comment