
শেখ হাসান আল মাহমুদ, শরণখোলা : শরণখোলায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে। গত চারদিনে কুকুরের কামড়ে ২৫ জনের বেশী মানুষ আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতংকের (অ্যান্টি র্যাবিস) ভ্যাকসিন নেই। সোমবার, মঙ্গল ও বুধবার উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কুকুরের কামড়ে আক্রান্তদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হচ্ছে, লামিয়া বেগম (৬০), রুহুল আমিন (৫৫), আমজাদ হোসেন (৬০), বেল্লাল হোসেন (২১), অহনা (৮), আবু সাইদ (৮), খাদিজা (৬), সিফাত (১২), তাওহীদ হাসান (৮), জিসান (৩), মেহেদী (১৫), ইফাদ (৮) রাফি (১৪) আরিফা (৫)। এদের অনেকে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় এক বছর ধরে জলাতংকের টিকা সরবরাহ নেই। ভ্যাকসিন না পেয়ে আহতদের অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ছুটছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ অথবা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে। কেউ কেউ বাজার থেকে চড়া দামে ভ্যাকসিন কিনতে বাধ্য হচ্ছেন । তাফালবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক নজরুল ইসলাম আকন বলেন, শহর-গ্রাম সবখানেই বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। শিশুরা একা বাইরে বের হলেই তাদের ওপর হামলে পড়ছে কুকুরের দল। বয়ষ্করাও রেহাই পাচ্ছেন না। শিশুদের নিয়ে বেশি আতঙ্কে পড়েছেন অভিভাবকরা। হাসপাতালে এক বছর যাবৎ জলাতঙ্কের টিকা না থাকায় সঠিক চিকিৎসা নিতে পারছেন না আক্রান্তরা। হাসপাতালে দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং বেওয়ারিশ কুকুর নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানান তিনি। শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিশ^জিত মজুমদার বলেন, প্রতিদিন ১০-১২ জন করে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। যারা বেশি আক্রান্ত তাদেরকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, আমরা সিভিল সার্জন অফিসে ভ্যাকসিনের চাহিদা দিয়েছি। কিন্তু এখনো পাইনি। ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত বেশি আক্রান্ত যারা, তাদেরকে বাগেরহাট সদর হাপাতালে পাঠানো হচ্ছে।