নড়াইল প্রতিনিধি : ডা. আরজুমান্দ জায়েদি। যিনি শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী হিসেবেই পরিচিত সবার কাছে। তিনজন নারীকে সঙ্গে নিয়ে মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে ভারত থেকে এসেছেন বাংলাদেশে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ভারতের কলকাতার বেলেঘাটার গান্ধী ভবন থেকে হেঁটে যাত্রা শুরু করে শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেলে নড়াইলে এসে পৌঁছান। এ পদযাত্রায় ডা. আরজুমান্দ জায়েদির নেতৃত্বে তার সঙ্গে রয়েছেন লক্ষনৌর স্বেচ্ছাসেবী কাশিশ খানম, উত্তরখান্ডের আনুষ্কা ও পারমিতা ডাঙ্গওয়াল নড়াইলে প্রবেশ করেন। রাতে লোহাগড়া উপজেলার নিরিবিলি পিকনিক স্পটের গেস্ট হাউজে অবস্থান করেন তারা।
শনিবার (১১ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে সেখান থেকে পদযাত্রা শুরু করেছেন ওই চার নারী। আগামী ১৬ মার্চ নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমে স্থানীয় সুধী সমাবেশের মাধ্যমে এ যাত্রা শেষ হবে বলে জানান তারা।
ভারতীয় এ দলটির সঙ্গে নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমের সুজন নবী নামে এক সহযোগী প্রতিনিধি পদযাত্রা সফল করতে নির্দেশক হিসেবে কাজ করছেন।
জানা যায়, ভারতের সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির (এসএনইউ) সহযোগিতায় ‘গান্ধী অ্যান্ড ওয়াক ২০২৩’ শীর্ষক এ পদযাত্রা শুরু হয় কলকাতার বেলেঘাটার গান্ধী ভবন থেকে। গোটা বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এ পদযাত্রা।
ফরিদপুর-ভাঙ্গা-মাওয়া হয়ে নারায়ণগঞ্জের পানামা সিটিতে পৌঁছবেন আগামী ১৪ মার্চ।
দলনেতা ডা. আরজুমান্দ জায়েদি বলেন, মহাত্মা গান্ধীর শান্তি ও অহিংসার বার্তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পদযাত্রা শুরু করেছি। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের শিল্প, সংস্কৃতি, জীবনযাত্রার অনেক মিল আছে। এছাড়া গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে আমরা প্রথমে বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছি। পরবর্তীতে সীমান্তবর্তী দেশ নেপাল, ভুটানে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে প্রায় চল্লিশ হাজার যুব স্বেচ্ছাসেবী আমার সঙ্গে যুক্ত আছেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে ধাপে ধাপে সারা বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে সুন্দর পৃথিবী গড়তে চাই। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।