যশোর অফিস : যশোরের শার্শা উপজেলার উলাসী ইউনিয়নের পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যার উদ্দেশ্য সাগর হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে বেত্রাবতীর নদীর পাড়ে ফেলে রেখে পালাল সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে সে যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
গত শনিবার রাতে রাত্রে খাজুরা কোল্ডষ্টোর এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে উলাসী গ্রামের সাগর হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্য এক দল সন্ত্রাসী বাহিনী তার ওপর হামলা করে মৃত ভেবে বস্তায় ভরে বেত্রাবতী নদীর পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে অজ্ঞাত এক ব্যাক্তি শার্শা থানায় ফোন দিলে থানা পুলিশ তাকে বেত্রাবতী নদীর পাড় থেকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় বাড়িয়ে পৌছায় দেয়। পরে তার অবস্থা আসংখ্যা জনক দেখে পরিবারের লোকরা শার্শা উপজেলা কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন পরে রেফার নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে সাগরের মা শাবানা খাতুন বাদি হয়ে শার্শা থানায় ৫ জনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহত সাগরের সাথে কথা বলে জানা যায়,আমি নাভারন বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে খাজুরা কোল্ডেষ্টোর এলাকায় পৌছালে খাজুরা গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে রাফি আমাকে পিছন থেকে ডেকে দাঁড় করিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে রাফি সহ একদল সন্ত্রাসী শরিফুল, আমানউল্লা, মেহেরুল্লা, জহির আলী মিলে আমাকে এলোপাথাড়ী কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা আমার মুখে গামছা বেঁধে হাত পা বেধে বাঁশের লাঠি লোহার রড দিয়ে মারতে থাকে। আমি অজ্ঞান অবস্থায় পানি চাইলে তারা আমার মুখে প্রস্রাব করে দেয় এর পর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
এ বিষয়ে শার্শা থানার তদন্ত অফিসার আকিকুর রহমান আকিক জানান, আহত সাগর হোসেন এর মা শাবানা খাতুন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আমরা তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।