সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা থেকে দুই বনদস্যুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন হরিনগর- যতীন্দ্রনগর ও মীরগাং নদী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এরপরে আটক দুই বনদস্যুর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের ব্যবহৃত নৌকা থেকে একটি একনলা বন্দুক ও একটি দা উদ্ধার করে পুলিশ।
আটক হওয়া বনদস্যুরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের যতীন্দ্রনগর এলাকার মৃত নওশাদ গাজীর ছেলে নজির গাজী (৫৫) ও খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার বৈকারী এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৮)।
শ্যামনগর এলাকার ইসমাইল হোসেন, সিদ্দিক ও আকবর আলীসহ অনেকে জানান, সোমবার রাত ৯ টার দিকে অপরিচিত ৫/৭ জন ব্যক্তি সুন্দরবন তীরবর্তী যতীন্দ্রনগর বাজারে আসে। এসময় নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য এসব ব্যক্তি মাইক্রো বা ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলের সন্ধান করতে থাকে। এসময় তাদের কথাবার্তায় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে নাম-পরিচয়সহ সুন্দরবন এলাকায় আসার কারণ জানতে চাইলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় বাজারে উপস্থিত লোকজন ধাওয়া দিয়ে দিদারুলকে আটকের পর শ্যামনগর থানায় খবর দেয়। পরে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দিদারুলকে থানায় নিয়ে যায়। পরে মীরগাং এলাকা থেকে অপর বনদস্যু নজিরকে আটক করে স্থানীয়রা।
আটককৃত বনদস্যু নজির গাজী জানিয়েছে সে সুন্দরবনের বনদস্যু জোনাব বাহিনীর সদস্যদের লোকালয়ে তুলে দেয়া এবং সুন্দরবনে নামিয়ে দেয়ার কাজ করেন। সোমবার ১০ হাজার টাকার চুক্তিতে সে জোনাব বাহিনীর দুই সদস্যকে যতীন্দ্রনগর বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বে ছিলেন।
বনদস্যু দিদারুল জানিয়েছে , সে নজির গাজীর শ্রমিক হিসেবে সুন্দরবনে যাওয়া জেলেদের জিম্মি করাসহ মুক্তিপণ আদায়ের কাজ করত।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান, বনদস্যু সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে একটি নৌকা, একটি একনলা বন্দুক ও একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে ।জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে মাছ শিকারির ছদ্মবেশে সুন্দরবনে প্রবেশ করতেন ও বনদস্যুদের সহযোগী হিসাবে কাজ করতেন । এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।