
জন্মভূমি রিপোর্টার : আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস.এম. মুশফিকুর রহমান বলেছেন, নগরভবন হবে জনবান্ধব। নাগরিকদের সম্মান রক্ষাই হবে আমার প্রথম অঙ্গিকার। তিনি শনিবার দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে নগরবাসীর প্রতি মুশফিকের খোলা চিঠি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠির কালো হাতের খড়ক নেমে আসে আমার ওপর। তাদের নির্যাতনে আমি জর্জারিত। মিথ্যা মামলা আর জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতিটি মুহুর্ত কাটিয়েছি ফেরারী জীবনে। এই গোষ্ঠি আমাকে অপরাধী বানিয়েছে। আমার জীবনে ২৬টি বছর কেটে গেল অন্ধকারের মধ্য দিয়ে আমি সমাজের মানুষকে দিতে চেয়ে ছিলাম দু’হাত ভরে। সেটি হয়ে গেল শুন্যতায় ভরা। ২০০৮ সালে বাগেরহাট-১আসন থেকে বিএনপি’র প্রার্থী হই। সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। ২০১৪ সালে অনেক সুযোগ থাকা সত্বেও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। সেই সুযোগটি বর্তমান সরকার লুফে নিয়ে ১৫২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়। এর ফল ভোগ করছে জনগণ। দ্রব্যমূল্যসহ সকল পণ্যের দাম আকাশ ছোয়া। চলছে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, গুম, খুর, অর্থ পাচার, দুর্নীতি ও বাকস্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমি সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের আহবানে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেই। তিনি আমাকে ২০১৮ সালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে প্রার্থী করেন। জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের চরিত্র হারিয়ে ফেলছে। সরকারি সুযোগ সুবিধা গ্রহণ আর সম্পাদ রক্ষার জন্য নাম মাত্র বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে।
সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রায় ১৪শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর ড্রেনেজ ও রাস্তা উচু করা হচ্ছে। অপরিকল্পিত প্রকল্প খুব শিঘ্রই জনভোগান্তিতে রূপ নিবে। কারণ রূপসা ও ভৈরব নদের তলদেশ পলি পরে ভরাট হয়ে গেছে। ড্রেনের পানি নিস্কাশন হতে পারেনা। জোয়ারের পানি শহরে প্রবেশ করে। সৃষ্টি হবে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। সাথে যুক্ত হবে দুর্গন্ধময় পরিবেশ। হাজার হাজার বসতবাড়ি উঁ”ু করতে হবে। প্রয়োজনীয় অর্থ নগরবাসীর মেটানো সম্ভব নয়। কেসিসি উন্নয়ন করবে নাগরীকদের জন্য। সেই উন্নয়ন যদি ভোগান্তি। আসন্ন সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হতে আগ্রহী। তিনি নগরবাসীর সমর্থন ও দোয়া কামনা করছেন। এ সময় তার সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।