
জন্মভূমি রিপোর্ট : সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, সড়ক জোন, খুলনার আওতাধীন সকল দপ্তরের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে গণশুনানি নিজেস্ব কার্যালয়ে গতকাল বেলা এগারটায় অনুষ্ঠিত হয়। সওজ, সড়ক জোন খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী প্রকৌশলী শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আনিসুজ্জামান মাসুদ, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাপসী দাস, সাংবাদিক, ঠিকাদার, নাগরীক নেতৃবৃন্দসহ খুলনার বিভিন্ন শ্রেণিপেষার মানুষ।
গণশুনানিতে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বলেন, খুলনার অধীন বিভিন্ন প্রকল্পে অগ্রগতির সাথে বরাদ্দের সমন্বয়হীনতার কারণে যথাসময়ে প্রকল্পগুলোর কাজ প্রায়শই করা সম্ভব হয় না। ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে মামলা মকদ্দমার কারণে কখনও কখনও প্রকল্পের কাজ সমাপনে বিলম্ব ঘটে। এছাড়া প্রকল্পের মাঝে থাকা গাছ বৈদ্যুতিক খুটি তার অপসারণে দীর্ঘসূত্রিতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া প্রয়োজনীয় জনবল সংকট, সরঞ্জম ও যন্ত্রপাতির সংকটের কারণে কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। তিনি বলেন, খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ১৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। যানবাহন চলাচলে বিড়ম্বনা দূর করতে বিভিন্ন পয়েন্টে ডিজিটাল পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হবে। খুলনা সাতক্ষিরা সড়কের ১৮ মাইল এলাকায় রাস্তার বাঁক সরলী করণের প্রচেষ্টা চলছে। ময়লাপোতা থেকে জিরোপয়েন্ট সড়কে চার লেনের কাজ আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে। ময়ূর নদের উপর একটি নান্দনিক ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। গল্লামারী ব্রিজ থেকে নলিয়ান ফরেস্ট অফিস পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার সড়কে উন্নয়ন কাজের জন্য একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশ হয়ে এলেই কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া শুনানিকালে উপস্থিত মানুষের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুলনার সড়ক মহাসড়ক গুলোর সার্বিক কাজ শেষ হলে আপনাদের সকল চাওয়া-পাওয়া পূর্ণতা লাভ করবে।