
শেখ হাসান আল মাহমুদ, শরণখোলা : বাগেরহাট সাইনবোর্ড-শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের শরণখোলার আমড়াগাছিয়া থেকে তাফালবাড়ী পর্যন্ত সড়কের প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশে খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের দুই পাশ ভেঙে সরু হয়ে গেছে। রাস্তার মাঝে বেশির ভাগ স্থানেই সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। অনেক সময় এসব গর্তে যাত্রী ও পণ্যবোঝাই যানবাহন ফেসে আটকে যায়। জেলার সাইনবোর্ড থেকে শরণখোলা পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৪৪ কিলোমিটার। ২৪ ফুট প্রসস্থ সড়কটির শরণখোলা উপজেলার আমড়াগাছিয়া কাঠের পুল থেকে তাফালবাড়ী শাম বেপারীর বাড়ির সামনের ব্রিজ পর্যন্ত এই অংশের সড়কের প্রস্থ ১৮ ফুট। সড়কের এই সরু অংশটুকু প্রসস্থ করা না হলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের পাশাপাশি বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথা জানাচ্ছে জনসাধারণ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শরণখোলা থেকে প্রতিদিন দূরপাল্লা ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং স্থানীয় রুটে শতাধিক বাসসহ যাত্রীবাহী আরো বিভিন্ন যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে। এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানী ও ব্যবসায়ীদের পণ্যবাহী আরো অসংখ্য ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকাপ চলে এই সড়ক দিয়ে। ফলে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপে অপ্রসস্থ সড়কটির ভগ্নদশার সৃষ্টি হয়েছে। শরণখোলা বিআরটিসির কাউন্টার পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন ও ফালগুনী পরিবহনের কাউন্টার পরিচালক মো. রিপন বয়াতী বলেন, সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। একারণে এখানে ভালো কোনো পরিবহন আসতে চায় না। ভাঙ্গা সড়কে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত গাড়ী ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এই রুট থেকে অনেক পরিবহন তুলে নিয়ে গছে মালিকরা। সড়কটি দ্রুত সংস্কারসহ প্রসস্থ করা না হলে ধীরে ধীরে শরণখোলা থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। হা-মীম পরিবহনের চালক মো. মোজাহিদ বলেন, “ঢাকা থেইকা শতশত কিলোমিটার পথ পার হইয়া আমড়াগাছিয়া “আইসাই বিপদে পইড়া যাই। রাস্তার যা অবস্থা তাতে গাড়ি চলার কোনো উপায় নাই। টান মারলেই পাশের খাদে পইড়া গাড়ি কাইত হইয়া যায়। তহন ভয়ে যাত্রীরা চিল্লাপাল্লা শুরু করে”। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ অংশ শিগগিরই মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া, সাইনবোর্ড থেকে শরণখোলা পর্যন্ত সড়কের উন্নয়নে পূর্বে একটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো। সেটি এখন ছোট আকারে করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সড়কের সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে নির্বাহী প্রকৌশলী জানান।