
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর: বছরের শুরু থেকে শ্যামনগরের খোলপেটুয়া নদীর দু’পাড় ও শ্যামনগর এবং কয়রার মধ্যভাগ দিয়ে প্রবাহিত কপোতাক্ষ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব শুরু হয়। শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলাম আঙ্গুর, আ.লীগ নেতার ব্যবসায়িক পার্টনার আব্দুর রহমান বাবু ও মন্ত্রীর ভাগ্নে পরিচয়দানকারী জনৈক সবুজ খান এই অবৈধ কাজের নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ।
আশাশুনি উপজেলার হিজলিয়া চর এবার বালুমহাল হিসেবে ঘোষিত হলেও চক্রটি স্থানীয়ভাবে প্রভাব বিস্তার করে প্রতিদিন অন্তত ৩৪টি কার্গো, কাঠবডি আর ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে ভাঙনকবলিত এসব এলাকা থেকে ড্রেজিং করে লক্ষাধিক ফুট বালু তুলছে।
বিষয়টি নিয়ে দৈনিক পত্রদূতে প্রকাশের পর নড়ে বসেছে প্রশাসন। অবৈধভাবে খোলপেটুয়া নদী থেকে বালু তোলার খবরে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌছে এমভি শাহানারা নামীয় একটি কার্গো আটক করেন। এসময় সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বালু উত্তোলনে জড়িত নৌযান মালিক গোলম রসুলকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।
গোলাম রসুল স্বীকার করেন তিনি ঠিকাদার সবুজ খানের নির্দেশে ঝুঁকিপুর্ণ হলেও উক্ত স্থান থেকে বালু তুলছিলেন। তার বাড়ি পাইকগাছার বাড়–লি গ্রামে হলেও বালু ব্যবসায়ীদের কথায় এসব এলাকায় এসে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজ করেন। তিনি আরও জানান বাবু ও তার লোকজন একই এলাকা থেকে বালু তুলছে বলেই তিনি সেখান থেকে বালু নেন। বাবুদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান গোলম রসুল।
এবিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন বলেন, খোলপেটুয়া এবং কপোতাক্ষের দু’পাড় খুবই ঝুঁকিপুর্ণ। সার্বিক বিবেচনায় সরকার আশাশুনির হিজলিয়া চরের মাত্র পাঁচ একর জায়গা থেকে বালু তোলার অনুমতি দিয়েছে। উক্ত এলাকার বাইরে কেউ কোন বালু উত্তোলন করলে আইনের আওতায় আনা হবে। এবার জরিমানা করা হলেও পরবর্তীতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথাও তিনি নিশ্চিত করেন।