
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদ্য যোগদানকারী পুলিশ সুপার পিপিএম আরেফিন জুয়েল যোগদান করার পর জেলার আইন-শৃঙ্খলা সহ সার্বিক পরিস্থিতির রেকর্ড পরিমান উন্নতি হয়েছে বলে মনে করেন সুধী মহল থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ। জেলার ৭ট উপজেলা ও তিনটি পৌরসভায় গত ৫ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর কিছু দুষ্কৃতকারী ব্যক্তিরা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর জন্য নানাভাবে চক্রান্ত করে। এর ভিরে রয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা, মাদক পাচার, খুন রাহাজানি, চুরি ডাকাতি, ছিনতাই চাঁদাবাজি , ও অজ্ঞান পার্টি সহ নানা অপকর্ম। এই ভয়াবহ কান্ড থেকে রেহাই পায়নি সাংবাদিক রাও জেলার একজন স্বনামধন্য সাংবাদিক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী তার বাড়িতেও ঘটেছে ডাকাতির ঘটনা। নিয়ে গেছে স্বর্ণ অলংকার সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মালামাল, কিন্তু বেশ কয়েক সপ্তাহ হল খাগড়াছড়ি থেকে বদলি হয়ে সাতক্ষীরায় আসেন এই স্বনামধন্য পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল। তিনি সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে পর্যায়ক্রমে সকল অপরাধ অপকর্ম নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে ।মাসখানেকের ভিতর সকল অপরাধ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন জেলার আইন শৃঙ্খলা বিশেষজ্ঞরা। পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল তার কাছে নেই কোন ধনী-গরিব রাজনীতিবিদ জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীদের পৃথকভাবে চোখে মূল্যায়ন করা। তার কাছে সাতক্ষীরা জেলার ২২ লক্ষ মানুষের সবার সমান অধিকার বলে তিনি এই প্রতিবেদককে তাৎক্ষণিক একপ্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন। তিনি বলেন দুষ্টের দমন আর সৃষ্টির পালন এই কথাটি মনে রেখে পুলিশকে জনগণের সেবা দিতে হবে। সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই পুলিশের একমাত্র অঙ্গীকার এই অঙ্গীকার নিজের জীবন দিয়ে হলেও আমি সাতক্ষীরায় যতদিন পুলিশ সুপার পদে আছি রক্ষা করব এবং যথাসাধ্য করার চেষ্টা করব। তিনি একজন মহৎ ব্যক্তি যার তুলনা করা যায় না, কারণ তিনি একজন কর্মদক্ষ সৎ নিষ্ঠাবান জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে জেলায় অল্প দিনে সর্বস্থানের মানুষের কাছে সুনাম অর্জন করেছেন। তার এই সুনাম ধরে রাখার জন্য তিনি জেলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে আন্তরিক সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন জেলার কোথাও কোন অপ্রতিকার বা আইন বিরোধী কোন
ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন দিয়ে জানাবে থানার অফিসার ইনচার্জ অথবা ডিউটি অফিসার যদি ফোন রিসিভ না করে অথবা ফোন রিসিভ করে কার্যকারী কোন পদক্ষেপ না নেয় মুহূর্তের ভিতর আমার কাছে ফোন দেওয়ার জন্য সর্বস্তরের মানুষের কাছে আমার জোর অনুরোধ রইল। আমার সরকারি ও ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে এবং সব সময় আমি প্রস্তুত থাকি জনগণের সেবা করার জন্য সেজন্য আমার কাছে নির্ভয়ে ফোন দিবেন তাই তিনি জেলার যে ব্যক্তি হোক না কেন সবার দরজা আমার কাছে সমান ভাবে খোলা আছে। সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি গনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল যোগদানের পরে। তিনি আরো বলেন প্রতিটি থানায় ওসি দেরকে কঠোরভাবে বলা হয়েছে কোনো অপরাধী যেন অপরাধ করে ছাড় না পায় আবার কোন ভাল মানুষ যেন পুলিশের হাতে হয়রানি না হয় সে বিষয়ে বিচক্ষণ করে দেখেশুনে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নিতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা সহ সার্বিক বিষয়ে এই প্রতিবেদক জানতে চাইলে কর্মদক্ষ পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল এই প্রতিবেদককে বলেন আপনারা নিশ্চিত থাকেন কে কি বলল তাতে পুলিশ কোন কান দেবে না সব দল পুলিশের কাছে সমান অধিকার পাবে এবং এই সাতক্ষীরা জেলায় একটি অবাধ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনিষ্ঠিত হবে এতে কোন ব্যতিক্রম ঘটবে না। নির্বাচনের ব্যাপার নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সব সময় সতর্ক অবস্থানে আছেন এবং নির্বাচনের পর পর্যন্ত থাকবেন উপরের কর্মকর্তারা যে নির্দেশ দেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ প্রতিটি নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করতে বদ্ধপরিকর। এবং ইতিমধ্য পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জেলার ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে গুলো পরিদর্শন করেছেন এবং যে সমস্ত ত্রুটি আছে অবিলম্বে সেগুলো সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েলের আরও একটি মহৎ গুণ তার কাছে যদি ফোন দেওয়া হয় ফোন যদি ব্যস্ত থাকে পরে উনি ফোন ব্যাক করে ওই ব্যক্তিকে এবং ফোন দিছেন কেন তাহার সমস্যা কি শুনে মুহূর্তের ভিতর সমাধান করেন এবং সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ দেন। যদি সরকারি কোনো মিটিংয়ে থাকে তার কাছে ফোন দিলে ফিরতি মেসেজ আসে ভাই মিটিংয়ে আছি মিটিং এরপরে আমি আপনার নাম্বারে ফোন দিবো একটু অপেক্ষা করুন। সত্যিই মিটিং এর পরে সেই ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার ফোন থেকে খুজে বের করে তার কাছে ফোন দিয়ে তার অভিযোগ এবং খোঁজখবর নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করেন ।জেলার অভিজ্ঞ মহল ও সর্বস্তরের মানুষ সকলের মুখে মুখে এখন একটাই কথা দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে সাতক্ষীরা বাঁশি পেয়েছেন একজন সৎযজ্ঞ কর্মদক্ষ সাহসী জনবান্ধব পুলিশ সুপার যার কাছে নেই কোন গৌরব। তিনি রাত দিন ২৪ ঘন্টা ফোন খোলা রেখে বিরহীন ভাবে সাতক্ষীরা জেলার ২২ লক্ষ মানুষের বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধা ও নিরাপত্তার কাজ করে যাচ্ছেন। সেজন্য সুধী মহল ও জেলার সর্বস্তরের মানুষ স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ,এবং দোয়া করেন পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েলকে যেন সৃষ্টিকর্তা এদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আরও বড় জায়গায় স্থান করে দেয়।
তবে নবগত সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েলের কাছে সাতক্ষীরা জেলার উপকূলীয় মানুষের একটাই দাবি বনদস্যু এবং তার গডফাদার দের সহ অবাধে হরিণ শিকার বিষ দিয়ে মাছ শিকার এগুলো বন্ধের জন্য চ্যালেঞ্জ পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার মানচিত্রে দেশের সবচেয়ে বড় জেলা এই জেলায় উপকূলীয় মানুষের একমাত্র রুটি রোজগারের পথ সুন্দরবন সেই সুন্দরবনে এখন ২০বনদস্যু বাহিনী প্রতিনিয়ত বনজীবীদের অপহরণ করে মোটা অঙ্গের মুক্তিপণাদায় করছে,। এমন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন আমি সবে এসেছি সব খবর আমার কাছে এসেছে আমি থানাপুলিশ, নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড ,র্যাব ,নৌবাহিনী, বন বিভাগ সহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বনজীবীদের নিরাপত্তার নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

