
সিরাজুল ইসলাম শ্যামনগর : সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার শশাংক কুমার জানান, জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে বাণিজ্যিকভাবে প্রায় শতাধিক খামার গড়ে উঠেছে। এসব খামারে দেশি প্রজাতির গরু উৎপাদন করা হচ্ছে। জেলার ৭টি উপজেলাতেই বিভিন্ন পরিবারে দুই থেকে তিনটি করে গরু পালন করা হচ্ছে। গবাদি পশু পালন করে সহজেই আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। গরু পালন করে বছরে এক থেকে দেড় লাখ টাকা উপার্জন করা যায় বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তুজুলপুর গ্রামে আনোয়ার অ্যাগ্রো-ফার্মের মালিক আনোয়ার হোসেন জানান, তার খামারে দেশি জাতের গরু মোটাতাজা করা হয়ে থাকে। খামারে এখন দেশি জাতের ৪০-৫০টি গরু পালন করা হচ্ছে।
তিনি জানান, জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেড় থেকে দুই বছর বয়সের দেশি জাতের এঁড়ে গরু সংগ্রহ করেন। এরপর খামারে পরিচর্যার মাধ্যমে মোটাতাজা করেন। তার খামারে সার্বক্ষণিকভাবে ৪ থেকে ৫ জন শ্রমিক কাজ করেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রইচপুর এলাকাতে রংধনু এগ্রো-ফার্ম নামে একটি খামারে দেশি জাতের লাল এড়ে গরু পালন করা হচ্ছে। প্রায় এক দশক ধরে এ খামারে গরু মোটাতাজা করার পাশাপাশি উৎপাদনও করা হয়ে থাকে। গত দেড় থেকে দুই বছর ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ খামারে বেড়েছে দেশি জাতের গরু পালন।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক জানান, তার খামারে দেশি প্রজাতির ৬০ থেকে ৭০টি এঁড়ে গরু রয়েছে। এক থেকে দেড় বছর বয়সের দেশি জাতের এড়ে গরু কিনে তার খামারে পরিচর্যার মাধ্যমে মোটাতাজা করা হয়।
শহরের কাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা আমিনুর রহমান আলম জানান, তিনি বসতবাড়িতে দেশি জাতের ৪টি করে এড়ে গরু পালন করেন। কোরবানির ঈদে সেগুলো বিক্রি করেন। গরু পালন করে বছরে ৯০ থেকে এক লাখ টাকা বাড়তি উপার্জন করেন

