By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: সাতক্ষীরায় সহ উপকূলে ‌বজ্রপাত আতঙ্ক; বাড়ছে মৃত্যুর ঝুঁকি
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > সাতক্ষীরা > সাতক্ষীরায় সহ উপকূলে ‌বজ্রপাত আতঙ্ক; বাড়ছে মৃত্যুর ঝুঁকি
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় সহ উপকূলে ‌বজ্রপাত আতঙ্ক; বাড়ছে মৃত্যুর ঝুঁকি

Last updated: 2025/09/24 at 4:46 PM
জন্মভূমি ডেস্ক 2 days ago
Share
SHARE

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ‌: এখন কেবল প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে বজ্রপাত হয়ে উঠেছে নিয়মিত প্রাণহানির কারণ। সাতক্ষীরায় প্রতি বছরই ঘটছে বজ্রাঘাতে মৃত্যুর ঘটনা। খোলা মাঠ, ফাঁকা বিল আর মাছের ঘের সব জায়গায় বজ্রপাত আতঙ্ক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাড়ছে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঝুঁকি।
গেলো ২১ এপ্রিল সাতক্ষীরায় খেত থেকে ধান কেটে বাড়ি আনার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অমিত্তবান আরাসহ বেশ কয়েকজন। হঠাৎ বজ্রপাতে মাঠেই মৃত্যু হয় অমিত্তবানের। আহত হন খুকুমনি নামে আরো এক নারী শ্রমিক। আর ৬ মে বাবার সাথে ধান আনতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দেবহাটা উপজেলার পাপড়াতলা গ্রামের দেবব্রত ঘোষ।
নারী শ্রমিক খুকুমনি বলেন, ‘আমরা দু’জন পড়ে গেলাম। এরপর সবাই আমাদের তুলে হাসপাতালে নিয়েছে এবং আমাদের চিকিৎসা করা হয়েছে। সুস্থ হয়ে জানলাম আমার পেছনে যে ছিল সে মারা গেছে।’
নিহতের মেয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘মজুরি খেটে কোনোরকমে সংসার চালাতো, আর এখন তিনি না থাকায় সংসারই ঠিকমত চলে না।’
এপ্রিল থেকে অক্টোবর এই ৭মাস সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। ঝড়-বৃষ্টির সময় খোলা মাঠ, আর মাছের ঘেরে থাকা মানুষ থাকেন সবচেয়ে ঝুঁকিতে। গত তিন বছরে এমন ঘটনায় মৃত্যু বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে।
মাঠে কাজ করা মানুষদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা মাঠে কাজ করি, ঝড় বৃষ্টির সময়ে দৌড়ে বাড়ির দিকে আসি। আশপাশে কোনো ছাউনি নেই যার নিচে আশ্রয় নেব।’
আবহাওয়াবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেড়েছে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঝুঁকি। তাই জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন সময়মত তথ্য ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আ ন ম গাউছার রেজা বলেন, ‘এলোমেলোভাবে বনায়ন না করে আমরা যদি পরিকল্পিতভাবে বনায়ন করি, কিছু সুনির্দিষ্ট উঁচু বৃক্ষ লাগাই, তাহলে এগুলোর মধ্যে দিয়েই বিদ্যুৎ পাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এতে ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা কমে যাবে।’
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, ‘পানি বিদ্যুৎ পরিবাহী। সেজন্য পানিতে যদি বজ্রপাত হয় তাহলে এই পানির সংস্পর্শে যদি কেউ থাকে তাহলে তারাও বিদ্যুতায়িত হয়। সেক্ষেত্রে ঘের এলাকায় থাকলে পানি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে এবং আশপাশের বড় গাছগাছালি থেকে দূরে থাকতে হবে।’
সরকারের পক্ষ থেকে বজ্রপাতে মৃত্যু ও ক্ষতি মোকাবিলায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় তালগাছ রোপণ, স্কুল-কলেজে সচেতনতা সভা এবং মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের জন্য সতর্কতা বার্তা প্রচারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া ফসলের মাঠে বজ্রপাত থেকে বাঁচতে ঘর বা ছাউনি বানানোর কাজ চলছে বলে জানান জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা।
সাতক্ষীরার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো সচেতনতা বৃদ্ধি করা। তাছাড়া কৃষক ছাউনি তৈরি করার জন্যও সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। অনেক জায়গায় তৈরি হয়েছেও। সাতক্ষীরাতেও কিছু তৈরি হয়েছে দেখেছি।’
সতর্কতা ব্যবস্থা থাকলেও তা অনেক সময় গ্রামের মানুষ সময়মত পান না। আর যে ক’টি আশ্রয়কেন্দ্র আছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। ফলে জীবন আর জীবিকার এই দ্বন্দ্বে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামছেন হাজারো মানুষ। সতর্কতা মানলেই বাঁচতে পারে প্রাণ। প্রয়োজন স্থানীয় প্রশাসনের আরও তৎপরতা ও জনগণের সচেতনতা। এছাড়া জলবায়ুর প্রভাবের কারণে সারা দেশে
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন প্রতিটি মানুষকে ছুঁয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তরুণদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
“বিশ্ব ধরিত্রী দিবস” উপলক্ষে পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতামূলক একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে যুব সংগঠন ভলেন্টিয়ার ফর এনভারমেন্ট।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শেখ শাহরুখ ফারহান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন প্রতিটি মানুষকে ছুঁয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তরুণদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, আমাদের সবার সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
ফারহান বলেন, প্লাস্টিক দূষণ বর্তমানে আমাদের নদী-নালা, বনাঞ্চল এমনকি খাদ্যচক্রেও ঢুকে পড়েছে। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের রিনিউএবল এনার্জি, রিসাইক্লিং এবং সচেতনতার দিকে নজর দিতে হবে।
জেন জি গ্রুপ প্রতিনিধিত্বকারী, ভলেন্টিয়ার আমিমুল ইহসান বলেন, তরুণদের স্কিলফুল হতে হলে এ ধরনের কার্যক্রম এ আমাদের অংশ খুব এ জরুরি। নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে

সমুদ্র পরিবেষ্টিত ও নদ-নদী স্নাত আবহমান বাংলা পলিমাটির উর্বর ক্ষেত্র। ধনধান্য পুষ্প ভরা শ্যামল বাংলা চিরায়ত এক সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে স্বদেশী কবি-সাহিত্যিক ও ভিনদেশী পর্যটকদের প্রশংসায় ধন্য হয়েছে ফরাসি পরিব্রাজক বার্নিয়ার বলেছিলেন, শ্যামল বাংলায় প্রবেশের পথ অনেক খোলা থাকলেও বেরুনোর পথ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। অর্থাৎ নয়নাভিরাম সবুজ বাংলায় ঢোকার পর তার শ্যামলের মহাসমারোহে নয়ন, মন এমনই আপ্লুত হয় নিগমের চিন্তাও করা যায় না। যুগ আর কালের সমৃদ্ধ বাতাবরণ। কবি গুরুর আমার সোনার বাংলার চিকিমিকি শ্যামল সবুজের আভরণে সত্যিই এক অনন্য বঙ্গভূমির মর্যাদায় আসীন ছিল। তেমন ঝলমলে বিশুদ্ধ বাতাবরণ ক্রমান্বয়ে ফিকে আর বিপন্নতার আবর্তে আটকে যাওয়াও পরিবেশ প্রকৃতির লাগাতার দাবানল। যা কি না ১৭৬০ সালের শিল্পবিপ্লবের ফল হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে ঊনবিংশ শতাব্দীর ক্রান্তিলগ্ন থেকেই। যন্ত্র সভ্যতার কার্বন নিঃসরণে বাতাসে যে বিপরীত প্রদাহ তা বুঝতেও বিশ্ববাসীকে লাগাতার এক শতক অপেক্ষা করতে হয়েছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শিল্পবিপ্লবের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দশক থেকেই নৈসর্গ বিজ্ঞানীরা জোরেশোরে আওয়াজ তুলতে লাগলেন প্রকৃতি তার সহজাত নৈসর্গিক বাতাবরণ থেকে ক্রমশ যেন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। শুধু যে খরতাপতা কিন্তু নয় অসময়ে বৃষ্টির ধারা জনজীবনের দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে। ষড়ঋতুর বিচিত্র লীলাভূমি আমাদের এই ক্ষুদ্র পলিমাটির উর্বর দেশ। সোনার ফসলে কৃষক আর গৃহস্থের গোলাভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ আবহমান বাঙালির যে খাদ্যের স্বয়ং সম্পূর্ণ তাও এই বরেন্দ্র উপকূলীয় অঞ্চলটি তার আপন শৌর্যে মহীয়ান থেকেছে কাল থেকে কালান্তরে। আজ আমরা ষড়ঋতুর বৈচিত্র্যিক নির্মল পরিবেশে অবগাহনে যেন ক্রমাগত বিচ্যুতির ধারায় প্রকৃতিকে নয়ছয় অবস্থায় দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। নৈসর্গবিদরা বলছেন এমনটা হওয়ার কথা নয়। প্রকৃতির নির্মল, সহজাত পরিমণ্ডল নৈসর্গেরই অবিস্মরণীয় অবদান। সেখানে প্রকৃতির কোলে লালিত মানুষদের যে নব সৃষ্টির প্রখর আবেদন, যান্ত্রিক কলা-কৌশলের অত্যাধুনিক উদ্ভাবন তাতে চিরায়ত সবুজঘেরা প্রান্তর তার আপন সীমানায় লঙ্ঘিত হতেও পেছন ফিরে তাকাচ্ছে না পর্যন্ত। মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তার চার পাড়ের সুস্থ, নির্মল আর বিপন্ন ঠেকানোর অপ্রতিরোধ্য এক স্বচ্ছ বাসভূমি। যা বিভিন্নভাবে প্রকৃতির সন্তানদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাওয়াও নৈসর্গের ওপর চরম বিপরীত চাপের নবতর কঠিন এক পৃথিবী। যেখানে প্রতি মুহূর্ত জীবনাচরণের শ্বাস-প্রশ্বাস বিঘ্নিত হচ্ছে।
প্রায় এক শতক পার হয়ে যাওয়ার আর এক জালাময়ী প্রতিবেশ। মানুষ কিন্তু উদ্ভাবন-আবিষ্কারে ক্রমাগত সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। থেমে থাকার পরিবেশ নেই বললেই চলে। আর প্রকৃতিও তার মূল বৈশিষ্ট্য থেকে পেছন হটা পরিস্থিতিরই দায়বদ্ধতা। এখান থেকে নতুন কিছু ভাবার অবকাশ যতই পিছু হটবে ততই আগামীর পৃথিবী কোথায় গিয়ে ঠেকবে তাও এক অনির্ধারিত জীবন চলার কণ্টকিত যাত্রাপথ। নদী ও সাগর তীরবর্তী জনগণের জন্য তা আরও যেন এক নিত্য লড়াই। মোকাবিলা করতে করতে শান্ত, ক্লান্ত হলেও এর থেকে বেরিয়ে আসার পথ তাদের অজানা এক বিস্ময়। ভাবতেই পারছে না নির্মল নৈসর্গের যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তার দায়ভার কিন্তু প্রকৃতির কোলে লালিত জ্ঞানী-গুণী বিজ্ঞানীদের। কারণ তাদের আধুনিক সৃষ্টির দ্যোতনায় কোনো এক জায়গায় লাগাম টেনে ধরা উচিত বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা আহ্বান, আবেদন জানিয়েই যাচ্ছেন। কিন্তু ফল শূন্যের কোঠায়। তথ্য-প্রযুক্তির অত্যাধুনিক বলয়ে মানুষের মধ্যেও যে ক্রমবিচ্ছিন্নতা তার থেকে পরিত্রাণ পাওয়াও জরুরি।
বাংলাদেশের অবস্থা ততোধিক শোচনীয়। ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় অঞ্চল তাণ্ডবে পরিণত হওয়া সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য এক বিপদাপন্ন প্রতিবেশ। তার সঙ্গে চিরকালীন এক সংগ্রামী আখ্যান নৈসর্গের দুরন্ত ঝড়-ঝাপটা। কক্সবাজার, মহেশখালী, মাতারবাড়ি এমন সব উপদ্রুত অঞ্চলের নদী ভাঙন বসতবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া এক নিয়মিত পালাবদল। কালবৈশাখীর ঝড়-ঝাপটা ছাড়াও উন্মত্ত নৈসর্গ কখন যে তার আগ্রাসী রূপে মানুষের জানমাল-বসতভিটাকে ভাঙনের খেলায় উন্মত্ত করে তোলে তাও এক অস্থির সমন্বয়ের সম্মুখ সমর। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে এক প্রকার অভ্যস্ত হয়ে যায় উপকূলীয় অতি সাধারণ মানুষ। রুজি, রোজগারের সঙ্গে অনবচ্ছেদ এমন সব প্রকৃতির লীলাখেলা। শুধু কি সমুদ্র আর নদ-নদীর অবিশ্রান্ত জোয়ারের উন্মত্ত খেলা? তার সঙ্গে নারী ও শিশুদের জীবনের ঘানি টানা আর এক বিপরীত প্রদাহ। কৃষি ও মৎস্যজীবীদের লড়াই-সংগ্রাম প্রতিদিনের এক সমস্যাসঙ্কুল কঠিন জীবনের ঘানি টানা। তবে জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাওয়াও প্রকৃতি, পরিবেশের ভিন্নমাত্রা অপঘাত তো বটেই। চৈত্র-বৈশাখের শুরুতে ঘূর্ণিঝড় তার ঋতুকালীন প্রভাব বিস্তার করলেও এখন সেখানেও ভর করেছেন চরম দুঃসময়।
আমরা এখন পার করছি বৈশাখ মাসের খরতাপ আর মাঝে মধ্যে বাতাসের উদাত্ত আস্ফালন। সামনে অপেক্ষা করছে জ্যৈষ্ঠের আগুনের আর এর দগ্ধ হাওয়া। সঙ্গে দমকা হাওয়ার প্রাবল্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে খুব বেশি সময়ও লাগে না। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী আর সাগর তীরের অধিবাসীরা তো এমন ঝড়-ঝাপটা সামলিয়ে যাপিত জীবনকে নির্বিঘ্ন আর নিরবচ্ছিন্ন করতে হিমশিম খায়। হরেক প্রাকৃতিক দুর্যোগে বজ্রপাত নামক আর এক কঠিন ধকল জনগণকে ব্যাকুল করে তোলে। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস কিংবা ঘন মেঘে লাগাতার বৃষ্টিস্নাত বাংলায় বজ্রপাতের হুঙ্কারে মানুষের বিচলিত হওয়া আর এক অসহনীয় দুর্বিপাক। যা প্রকৃতির বৈরীভাবের অনিঃশেষ যাতনাই শুধু নয় মরণ কামড় বললে বেশি বলা হয় না। আর বজ্রপাতের মরণের ঝুঁকিতে থাকতে হয় বেশি গায়ে গতরে খেটে খাওয়া মানুষদের। যাদের খোলা আকাশের নিচে উদায়াস্ত পরিশ্রম করতে হয় রুজি, রোজগারের জন্য। সেখানে নাকি মাঠে চাষ করা কৃষক আর অবকাঠামো তৈরিতে নির্মাণ শ্রমিকরা। যাদের কর্মযোগের যথার্থ স্থানই খোলা আকাশের নিচে। ঘন ঘন বজ্রপাতের জন্য অবলীলায় উন্নয়নের নামে উঁচু বৃক্ষ কর্তনকেই দায়ী করছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।

জন্মভূমি ডেস্ক September 24, 2025
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article সাতক্ষীরা ‌ ২০১টি প্রাইমারি স্কুলের ৪১টিতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য
Next Article বজ্রপাত মৌসুমে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে

দিনপঞ্জি

September 2025
S M T W T F S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
« Aug    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা ‌দুই মাসে ভোমরা বন্দর দিয়ে ২৭২ টন জিরা আমদানি

By জন্মভূমি ডেস্ক 4 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

বইছে ‌‌‌ঋতুরাণী শরৎকাল

By জন্মভূমি ডেস্ক 5 hours ago
যশোর

যশোরে পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তাদের পদোন্নতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

By জন্মভূমি ডেস্ক 6 hours ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

তাজা খবরসাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা ‌দুই মাসে ভোমরা বন্দর দিয়ে ২৭২ টন জিরা আমদানি

By জন্মভূমি ডেস্ক 4 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

বইছে ‌‌‌ঋতুরাণী শরৎকাল

By জন্মভূমি ডেস্ক 5 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

By জন্মভূমি ডেস্ক 6 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?