By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
  • ALL E-Paper
Reading: সাতক্ষীরায় সহ দক্ষিণ অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে চুই ঝাল চাষ
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > সাতক্ষীরা > সাতক্ষীরায় সহ দক্ষিণ অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে চুই ঝাল চাষ
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় সহ দক্ষিণ অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে চুই ঝাল চাষ

Last updated: 2025/11/27 at 1:14 PM
জন্মভূমি ডেস্ক 6 days ago
Share
SHARE

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ‌: চুই ঝালের কথা বলতেই অনেকের জিবে জ্বল চলে আসে। চুইঝাল একটি প্রচলিত মসলা জাতীয় অর্থকরী ফসল। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এটি বেশি চাষ হয়ে থাকে। স্থানীরা এটিকে চুইঝাল বলে থাকে। এটি একটি লতা জাতীয় গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম চরঢ়বৎ পযধনধ। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় প্রজাতি। বর্তমানে সাতক্ষীরা এবং খুলনাঞ্চলে সবচেয়ে ভালো চুই উৎপাদন হচ্ছে। সাতক্ষীরার ভোজন রসিকদের কাছে চুইয়ের কদর সবচেয়ে বেশি। গোশত রান্নায় চুইঝাল বেশি ব্যবহার করা হয়। অনেকে চুই দিয়ে মাছও রান্না করে থাকেন। চুই ঝালকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরায়, পাটকেলঘাটা, তালায়সহ বেশ কয়েক জায়গায় হোটেল গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরায় আব্বাস হোটেল, পানসি হোটেল, পাটকেলাঘাট গণির হোটেল। শুধুমাত্র চুইঝাল দিয়ে গোশত রান্নার কারণে খুলনা, চুকনগর ও সাতক্ষীরার বেশ কয়েকটি হোটেলের সুখ্যাতি রয়েছে সারা দেশে। জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চুই লতাজাতীয় গাছের কা- ধূসর বর্ণের ও পাতা পান পাতার মতো সবুজ রঙের। কা- থেকে আকর্ষি বের হয়, সেই আকর্ষি মাটিতে বিশেষভাবে রোপণ করলে আবার সেটা গাছ হয়। এর কা-টি মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চুইঝাল একধরনের মসলা। এর ডাল মসলা হিসেবে গরু ও খাসির গোশতে দেয়া হয়। এতে এক অপূর্ব স্বাদের সৃষ্টি হয়। সেই স্বাদ ঝাল ঝাল। সাতক্ষীরা বড় বাজার, পাটকেলঘাটা, তালা কালিগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন বাজারে চুই ঝাল বিক্রি হয়ে থাকে প্রতি কেজি ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা এলাকার চাষিরা জানান, আম, শিমুল গাছের সাথে ভাল ফল পাওয়া গেছে। সাধারণত আম, সুপারিসহ কাঠ জাতীয় গাছের গোড়া থেকে ১২-১৫ ইঞ্চি দূরে গর্ত করে চুই গাছের কাটিং লাগান হয়। গর্তের মধ্যে কিছু গোবর, বর্জ্য, ৫০ গ্রাম ইউরিয়া, ৫০ গ্রাম টি এস পি, ৫০ গ্রাম পটাশ দিয়ে গর্তে ও মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ৭ দিন রেখে কাটিং লাগাতে হয়। গর্তে একটি খুঁটি কাত করে বড় গাছের সাথে বেঁধে দিলে ৩০-৪০ দিনের মাঝে তা গাছের কা-ের সাহায্যে উপরে উঠে যায়। এভাবে চুই গাছ বাড়তে থাকে। সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজারের চুই ঝাল বিক্রেতা শাহিনুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কেজি চুই ঝাল বিক্রি করি। বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে চুই ঝালের বিক্রি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তিনি আরও বলেন, তালা, কালিগঞ্জ, পাটকেলঘাটা এলাকা থেকে চাষিরা আমাদের চুই ঝাল দিয়ে যায়। সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার আবুল হোসেন বলেন, আমি ৩ কেজি চুই কিনেছি। চুই ছাড়া আমাদের বাড়িতে কোন মাংস রান্নাই হয় না। বাড়ির সবার প্রিয় চুই ঝাল। তবে শাখা ডাল থেকে শেকড়ে ঝাল বেশি বলে এর দামও একটু বেশি। জেলার পাটকেলঘাটা থানার তৈলকুপি এলাকার অমিত কুমার সাধু জানান, বাপ-দাদার আমল থেকে চুইয়ের আবাদ করছি। এখন কৃষি অফিসের সাহায্য নিয়ে বেশি করে চাষ করছি। বছরে প্রায় ৫০ হাজার টাকার চুই বিক্রি করে থাকি। একজন সাধারণ কৃষক মাত্র ২-৪টি চুই গাছের চাষ করে নিজের পরিবারের চাহিদা মেটাতে পারেন। অনেকে আবার চুই ঝালের গোড়াসহ নিয়ে যায়। সরকারিভাবে উদ্যোগ নিলে চুই ঝালের চাষ আরো বাড়তে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অবাক করা বিষয় হল এই যে খুলনা-যশোর-সাতক্ষীরার চুই দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও রপ্তানি হচ্ছে। হারবাল চিকিৎসক হাকিম তপন কুমার দে বলেন, চুই ঝাল শুধু মাত্র মসলা নয় ভেষজ ওষুধ, চুইলতার শিকড়, কা-, পাতা, ফুল ফল সব অংশই ভেষজগুণ সম্পন্ন এবং গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ পুরো গাছ উপকারি। মানব শরীরের বিভিন্ন রোগ নিবারণে এটি অনেক কার্যকর। গ্যাস নিবারণ, কোষ্ঠকাঠিন্য তাড়াতে, রুচি বাড়াতে, ক্ষুধামন্দা দূর করতে কার্যকর ওষুধ এটা। স্নায়ুবিক উত্তেজনা ও মানসিক অস্থিরতা প্রশমন করে ঘুম আনতে সহায়তা করে চুই ঝাল। হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, কাশি, কফ, ডায়রিয়া, রক্তস্বল্পতা, শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে অথবা শরীরের ব্যথা সারাতে পারে চুই ঝাল। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান বলেন, জেলায় সাড়ে ৩ হেক্টর জমিতে চুই ঝালের চায় হয়। জেলায় বিভিন্ন বাড়িতে লাগানো পাশাপাশি এখন কেউ কেউ বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ শুরু করছে।
চুই ঝালের কথা বলতেই অনেকের জ্বিবে জ্বল চলে আসে।  চুইঝাল একটি প্রচলিত মসলা জাতীয় অর্থকরী ফসল। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এটি বেশি চাষ হয়ে থাকে। স্থানীরা এটিকে চুইঝাল বলে থাকে। পিপারাসি পরিবারের সপুষ্পক লতা চুই। এর বৈজ্ঞানিক নাম Piper chaba। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় প্রজাতি। দেশে সাতক্ষীরা এবং খুলনাঞ্চলে সবচেয়ে ভালো চুই উৎপাদন হয়।
অনেক বছর ধরে খুলনা এবং সাতক্ষীরার ভোজনরসিকদের কাছে চুইয়ের কদর সবচেয়ে বেশি। মাংসেই চুই বেশি ব্যবহার করা হয়। অনেকে চুই দিয়ে মাছও রান্না করে থাকেন। চুই ঝালকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা, পাটকেলঘাটা, তালায়সহ বেশ কয়েক জায়গায় হোটেল গড়ে উঠেছে। শুধুমাত্র চুইঝাল দিয়ে খাসির মাংসের কারণে খুলনার চুকনগরে আব্বাসের হোটেলের সুখ্যাতি রয়েছে সারা দেশে।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চুই লতাজাতীয় গাছের কা- ধূসর বর্ণের ও পাতা পান পাতার মতো সবুজ রঙের। কাণ্ড থেকে আকর্ষি বের হয়, সেই আকর্ষি মাটিতে বিশেষভাবে রোপন করলে আবার সেটা গাছ হয়। এর কাণ্ডটি মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চুইঝাল একধরনের মসলা। এর ডাল মসলা হিসেবে গরু ও খাসির মাংসে দেওয়া হয়। আঙুলের মতো চিকন এ গাছের লতার দাম কম। আর গাছের গোড়ার দাম সবচেয়ে বেশি। লতা ফেড়ে মাংস রান্নার সময় দেওয়া হয়। এতে এক অপূর্ব স্বাদের সৃষ্টি হয়। সেই স্বাদ ঝাল ঝাল। অনেকে মাংস রেখে শুধু চুই ঝালই মজা করে খান। এছাড়া এর অনেক ভেষজ গুণ রয়েছে। পাতা, কাণ্ড, শিকড়, ফুল, ফল, ডাল সবই ঔষধি গুণসম্পন্ন।
মাংসের স্বাদ বাড়তে চুই ঝালের বিকল্প নেই। বিভিন্ন সামাজিক আচার অনুষ্ঠানসহ ঈদ পার্বণে চুই ঝালের কদর বেড়ে যায় অনেকগুণ। সাতক্ষীরা বড় বাজার, পাটকেলঘাটা, তালা কালাগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন বাজারে চুই ঝাল বিক্রি হয়ে থাকে প্রতি কেজি ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
চুই ঝাল-১
চুইয়ের গাছ কিভাবে বেড়ে ওঠে সেটি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাটিতে কাটিং লাগাতে হয়। কাটিং থেকে নতুন চারা বের হলে তা কোন ফল বা কাঠ গাছে দিয়ে দিলে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে। চুই লতাজাতীয় গাছ, তাই আম, জাম, সুপারি, নারকেল ইত্যাদি গাছের গোড়ায় এটি রোপণ করা হয়। এক বছর বয়সী চুই খাওয়া যায়, তবে ৫-৬ বছরের চুই উত্তম। এটি সাতক্ষীরার স্থানীয় বাজার ছাড়াও যশোর, খুলনা, ঢাকাসহ দেশ-বিদেশেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা এলাকার চাষিরা জানান, আম, শিমুল গাছের সাথে ভাল ফল পাওয়া গেছে। সাধারণত আম, সুপারিসহ কাঠ জাতীয় গাছের গোড়া থেকে ১২-১৫ ইঞ্চি দূরে গর্ত করে চুই গাছের কাটিং লাগান হয়। গর্তের মধ্যে কিছু গোবর, বর্জ্য, ৫০ গ্রাম ইউরিয়া, ৫০ গ্রাম টি এস পি, ৫০ গ্রাম পটাশ দিয়ে গর্তে ও মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ৭ দিন রেখে কাটিং লাগাতে হয়। গর্তে একটি খুঁটি কাত করে বড় গাছের সাথে বেঁধে দিলে ৩০-৪০ দিনের মাঝে তা গাছের কাণ্ডের সাহায্যে উপরে উঠে যায়। এভাবে চুই গাছ বাড়তে থাকে।
সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজারের চুই ঝাল বিক্রেতা শাহিনুর রহমান বলেন, ‘আমি প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কেজি চুই ঝাল বিক্রি করি। বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে চুই ঝালের বিক্রি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তিনি আরও বলেন, তালা, কালিগঞ্জ, পাটকেলঘাটা এলাকা থেকে চাষীরা আমাদের চুই ঝাল দিয়ে যায়।’
চুই ঝাল কেনার সময় কথা হয় ওয়ালিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় একটি কাজে এসেছেন। যাওয়ার সময় ৫০০ টাকা দিয়ে ২ কেজি চুই ঝাল কিনে নিয়েছেন।
চুই ঝাল -২
সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার শফিউল আলম খান বলেন, ‘আমি ৩ কেজি চুই কিনেছি। চুই ছাড়া আমাদের বাড়িতে কোন মাংস রান্নাই হয় না। বাড়ির সবার প্রিয় চুই ঝাল। তবে শাখা ডাল থেকে শেকড়ে ঝাল বেশি বলে এর দামও একটু বেশি। শুকনো চুইয়ের দাম আরো ২-৩ গুণ।
জেলার পাটকেলঘাটা থানার তৈলকুপি এলাকার অমিত কুমার সাধু জানান, বাপ-দাদার আমল থেকে চুইয়ের আবাদ করছি। এখন কৃষি অফিসের সাহায্য নিয়ে বেশি করে চাষ করছি। বছরে প্রায় ৫০ হাজার টাকার চুই বিক্রি করে থাকি। আমারও বাড়ির সকল তরকারিতে চুই ঝাল ব্যবাহার করে থাকি।
তিনি আরো বলেন, জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায়ও এটি নিয়ে যাচ্ছে । একজন সাধারণ কৃষক মাত্র ২-৪টি চুই গাছের চাষ করে নিজের পরিবারের চাহিদা মেটাতে পারেন। অনেকে আবার চুই ঝালের গোড়াসহ নিয়ে যায়। আমাদের বাড়ির আম গাছে অনেক পুরাতন একটি গাছ ছিল সেটি ৫০ হাজার টাকায় দিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যাচ্ছে এক বেপারিরা। সরকারিভাবে উদ্যোগ নিলে এটির চুই ঝালের চাষ আরো বাড়তে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাতক্ষীরা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার মটরসাইকেল চালিয়ে পাটকেলাটা ব্রীজের নিচে গণির হোটেলে শুধুমাত্র চুইঝাল খাওয়ার জন্য এসেছেন মাহবুবর রহমান। তিনি বলেন, সাতক্ষীরার অনেক খাবারের হোটেলে খেতে গেলে পাওয়া যায় এই চুই ঝালের স্বাদ। পাটকেলাটার বেশ কয়েকটি হোটেল শুধুমাত্র চুই ঝালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এখানে ভালো রান্না হয় এজন্য এত দূর থেকে এই চুই ঝাল খাওয়ার জন্য এসেছি। তিনি চুই ঝাল নামেই বোঝা যায় এটি স্বাদে ঝাল, কিন্তু এই ঝাল একটু আলাদা। এর রয়েছে একটি আলাদা গন্ধ যা তরকারি বা রান্না মাংসে আনে আলাদা এক আমেজ। আরও মজার ব্যাপার হলো খাওয়ার পর এই ঝাল বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়না।
স্থানীয় চাষিরা মনে করেন বাংলাদেশে মরিচের বদলে চুইয়ের চাষের বিস্তার ঘটিয়ে প্রতি বছর হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। অবাক করা বিষয় হল এই যে খুলনা-যশোর-সাতক্ষীরার চুই দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও রপ্তানি হচ্ছে। সরকার যদি এর দিকে সুনজর দেয় তবে আমাদের দেশ এখান থেকে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে।
চুই গাছ
হারবাল চিকিৎসক হাকিম তপন কুমার দে বলেন, চুই ঝাল শুধু মাত্র মসলা নয় ভেষজ ওষুধ, চুইলতার শিকড়, কাণ্ড, পাতা, ফুল ফল সব অংশই ভেষজগুণ সম্পন্ন এবং গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ পুরো গাছ উপকারি। মানব শরীরের বিভিন্ন রোগ নিবারণে এটি অনেক কার্যকর। গ্যাস নিবারণ, কোষ্ঠকাঠিন্য তাড়াতে, রুচি বাড়াতে,ক্ষুধামন্দা দূর করতে কার্যকর ওষুধ এটা। অর্থাৎ পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ সারাতে খেতে চুই ঝাল খাওয়া যাবে। সর্দির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মাত্র এক ইঞ্চি পরিমাণ চুই ঝালের সঙ্গে আদা পিষে খেতে পারেন। স্নায়ুবিক উত্তেজনা ও মানসিক অস্থিরতা প্রশমন করে ঘুম আনতে সহায়তা করে চুই ঝাল। হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, কাশি, কফ, ডায়রিয়া, রক্তস্বল্পতা, শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে অথবা শরীরের ব্যথা সারাতে পারে চুই ঝাল।সাতক্ষীরায় ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ মসলা জাতীয় অর্থকরী ফসল চুই ঝালের চাষ দিন দিন বাড়ছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরা, যশোর এবং খুলনা এলাকায় এটি বেশি চাষ হয়ে থাকে। পিপারাসি পরিবারের সপুষ্পক লতা চুই। এর বৈজ্ঞানিক নাম Piper chaba। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় প্রজাতি।
সাতক্ষীরার ভোজনরসিকদের কাছে চুইয়ের কদর সবচেয়ে বেশি। মাংসই চুই বেশি ব্যবহার করা হয়। অনেকে চুই দিয়ে মাছও রান্না করে থাকেন। চুই ঝালকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরায়, পাটকেলঘাটা, তালায়সহ বেশ কয়েক জায়গায় হোটেল গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরায় আব্বাস হোটেল, পানসি হোটেল, ভোজন বিলাশ, কস্তরী পাটকেলাঘাট গণির হোটেল। শুধুমাত্র চুই ঝাল দিয়ে খাসির মাংসের কারণে খুলনার চুকনগরে আব্বাসের হোটেলের সুখ্যাতি রয়েছে সারা দেশে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চুই লতাজাতীয় গাছের কাণ্ড ধূসর বর্ণের ও পাতা পান পাতার মতো সবুজ রঙের। কাণ্ড থেকে আকর্ষি বের হয়, সেই আকর্ষি মাটিতে বিশেষভাবে রোপণ করলে আবার সেটা গাছ হয়। এর কান্ডটি মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চুই ঝাল একধরনের মসলা। এর ডাল মসলা হিসেবে গরু ও খাসির মাংসে দেওয়া হয়। এতে এক অপূর্ব স্বাদের সৃষ্টি হয়। সেই স্বাদ ঝাল ঝাল। অনেকে মাংস রেখে শুধু চুই ঝালই মজা করে খান। এছাড়া এর অনেক ভেষজ গুণ রয়েছে।
সাতক্ষীরা বড় বাজার, পাটকেলঘাটা, তালা কালিগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন বাজারে চুই ঝাল বিক্রি হয়ে থাকে প্রতি কেজি ২০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা এলাকার চাষিরা জানান, আম, শিমুল গাছের সাথে ভাল ফল পাওয়া গেছে। সাধারণত আম, সুপারিসহ কাঠ জাতীয় গাছের গোড়া থেকে ১২-১৫ ইঞ্চি দূরে গর্ত করে চুই গাছের কাটিং লাগান হয়। গর্তের মধ্যে কিছু গোবর, বর্জ্য, ৫০ গ্রাম ইউরিয়া, ৫০ গ্রাম টি এস পি, ৫০ গ্রাম পটাশ দিয়ে গর্তে ও মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ৭ দিন রেখে কাটিং লাগাতে হয়। গর্তে একটি খুঁটি কাত করে বড় গাছের সাথে বেঁধে দিলে ৩০-৪০ দিনের মাঝে তা গাছের কা-ের সাহায্যে উপরে উঠে যায়। এভাবে চুই গাছ বাড়তে থাকে।
সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজারের চুই ঝাল বিক্রেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কেজি চুই ঝাল বিক্রি করি। বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে চুই ঝালের বিক্রি বেড়ে যায় কয়েক গুণ।” তিনি আরও বলেন, “তালা, কালিগঞ্জ, পাটকেলঘাটা এলাকা থেকে চাষীরা আমাদের চুই ঝাল দিয়ে যায়।”
সাতক্ষীরা শহরের রাজার এলাকার আবুল হোসেন বলেন, “আমি ৩ কেজি চুই কিনেছি। চুই ছাড়া আমাদের বাড়িতে কোন মাংস রান্নাই হয় না। বাড়ির সবার প্রিয় চুই ঝাল। তবে শাখা ডাল থেকে শেকড়ে ঝাল বেশি বলে এর দামও একটু বেশি।” আবু ইউসুফ রনি নামে একজন বলেন, “সাতক্ষীরার অনেক খাবারের হোটেলে খেতে গেলে পাওয়া যায় এই চুই ঝালের স্বাদ। পাটকেলাটার বেশ কয়েকটি হোটেল শুধুমাত্র চুই ঝালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।”
চুই ঝাল নামেই বোঝা যায় এটি স্বাদে ঝাল, কিন্তু এই ঝাল একটু আলাদা। এর রয়েছে একটি আলাদা গন্ধ যা তরকারি বা রান্না মাংসে আনে আলাদা এক আমেজ। আরও মজার ব্যাপার হলো খাওয়ার পর এই ঝাল বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়না।
স্থানীয় হারবাল চিকিৎসকরা বলেন, “চুই ঝাল শুধুমাত্র মসলা নয় ভেষজ ওষুধ, চুইলতার শিকড়, কাণ্ড পাতা, ফুল ফল সব অংশই ভেষজগুণ সম্পন্ন এবং গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ পুরো গাছ উপকারি। মানব শরীরের বিভিন্ন রোগ নিবারণে এটি অনেক কার্যকর। গ্যাস নিবারণ, কোষ্ঠকাঠিন্য তাড়াতে, রুচি বাড়াতে, ক্ষুধামন্দা দূর করতে কার্যকর ওষুধ এটা। স্নায়ুবিক উত্তেজনা ও মানসিক অস্থিরতা প্রশমন করে ঘুম আনতে সহায়তা করে চুই ঝাল। হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, কাশি, কফ, ডায়রিয়া, রক্তস্বল্পতা, শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে অথবা শরীরের ব্যথা সারাতে পারে চুই ঝাল।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এই প্রতিবেদককে ‌বলেন, “জেলায় সাড়ে ৫হেক্টর জমিতে চুই ঝালের চায় হয়। জেলায় বিভিন্ন বাড়িতে লাগানো পাশাপাশি এখন কেউ কেউ বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ শুরু করছে।”
চুই ঝাল বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি বিশেষ ধরনের মসলা যা রান্নায় ব্যবহার করা হয় খাবারের বিশেষ স্বাদের জন্য। এটি মূলত লতাজাতীয় একটি উদ্ভিদ। পরগাছা এই উদ্ভিদটির কাণ্ড ভালো করে পরিষ্কার করে ছোট ছোট টুকরো করে তরকারিতে ব্যবহার করা হয়। রান্নায় এটি মরিচের মতো কিছুটা ঝাল এবং অসাধারণ ঘ্রাণ যুক্ত করে। সাধারণত মাংস, সবজি কিংবা নিরামিষে ব্যবহার করা হয়। এটি একসময় শুধুমাত্র স্থানীয়দের কাছে পরিচিত হলেও ধীরে ধীরে এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে।
খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর অঞ্চলের হোটেলগুলোতে চুই ঝালে রান্না মাংস বেশ ঘটা করে বিক্রি হচ্ছে। আগে বাড়ির আঙিনায় অনেকটা পরগাছার মতো বেড়ে উঠলেও আজকাল তা বিক্রির উদ্দেশ্যেও লাগানো হচ্ছে। খুলনার বড় বাজারে প্রতি কেজি চুই ঝাল বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ভিন্ন স্বাদের এ ঝালের স্বাদ সিলেটের সাতকরার চাইতে কোনো অংশে কম নয় বলে দাবি করেন দক্ষিণাঞ্চলীয় মানুষ। শুধু রান্না নয়, ভেষজ গুণাগুণসম্পন্ন এই চুই ঝাল খাবারের রুচি বাড়াতে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানসহ আরো নানা সমস্যার মহৌষোধ হিসেবে কাজ করে।
একটি ঔষধি গুণাগুণ সম্পন্ন মসলা জাতীয় খাবার। ভোজন রসিকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। সঙ্গত কারণে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের ক্ষেত্রে কৃষকদের কাছেও এটি একটি লাভজনক ফসল। ব্যাপক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে দিন দিন বাড়ছে এই ফসলের জনপ্রিয়তা। ফলে বাণিজ্যিক চাষাবাদ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফসলটি সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। এমনকি বিদেশেও এটি রপ্তানির স্বপ্ন দেখছেন কৃষক-ব্যবসায়ীরা। একারণে দেশে ও বিদেশে এই মসলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
রান্নায় যেকোনো মাছ ও মাংসের স্বাদ বাড়াতে চুইঝালের জুড়ি নেই। বিশেষ করে কোরবানির ঈদে চুই ঝালের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। অনলাইনেও কেনা যায় চুইঝাল।
খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে খুলনা জেলায় প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে চুইঝালের চাষ হচ্ছে। হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদন ৪ দশমিক ১৭ মেট্রিক টন। সেই হিসাবে জেলায় বছরে মোট ২শ’ ৫০ মেট্রিক টন চুইঝাল উৎপাদিত হয়। খুলনা জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলা চুইঝাল উৎপাদনের শীর্ষে। এই উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে অর্থকরী ফসল চুইঝাল উৎপাদিত হচ্ছে। এছাড়া পাইকগাছায় ৯ হেক্টর, বটিয়াঘাটায় ৮ হেক্টর, রূপসায় ৫ হেক্টর এবং ফুলতলায় ৫ হেক্টর জমিতে চুইঝালের চাষ হচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে খুলনার পাইকারি বাজারে ভালো মানের প্রতি কেজি চুইঝাল দেড় থেকে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর অপেক্ষাকৃত কম মানের চুইঝাল ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা স্থানভেদে পাইকারি দামের চেয়ে প্রতি কেজিতে ২শ’ থেকে ৪শ’ টাকা বেশি নিয়ে থাকেন। সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে প্রতি কেজির গড় দাম ১৩শ’ টাকা ধরলে দেশে চুইঝালের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় একশ’ কোটি টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের তথ্য মতে, দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও নড়াইল জেলায় গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ৬শ’ টন চুইঝাল উৎপাদিত হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের উৎপাদন হয়েছিল ৫শ’ ৫০টন। প্রতি বছরই এর উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনলাইনে খুলনার চুইঝাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘উড়া’র স্বত্ত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম হিরণ বাসস’কে বলেছেন, সারা দেশের ভোজনবিলাসীদের পছন্দের শীর্ষে এখন খুলনা অঞ্চলের চুইঝাল। কোরবানির ঈদে চুইঝালের চাহিদা বহুগুণ বেড়ে যায়। ঈদে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে খুলনার চুইঝালের অর্ডার পেয়ে সরবরাহ করেছি। অন্য সময়েও এর চাহিদা থাকে।
তিনি আরো বলেছেন, খুলনার মানুষ অতীতে শখের বশে বসতবাড়ির আশপাশে চুইঝালের চাষ করতেন। কিন্তু দিন দিন চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন বাণিজ্যিকভাবে চুইঝালের চাষ হচ্ছে। অনেকে নার্সারির মাধ্যমে চুইঝালের চারা উৎপাদন করে বিক্রি করছেন। খুলনায় সবচেয়ে বেশি চুইঝাল উৎপাদন হয় সশ্য ভান্ডার খ্যাত ডুমুরিয়া উপজেলায়।
ডুমুরিয়া উপজেলার কৃষক নবদ্বীপ মল্লিক জানিয়েছেন, সারা বছরই চুইঝাল বিক্রি হয়, তবে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে এর চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। কুরিয়ারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ চুইঝাল সংগ্রহ করছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, তিন-চার বছর আগেও বছরে যেখানে ২-৩ হাজার চুইঝালের চারা বিক্রি হতো। এখন তা বেড়ে ৫০-৬০ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
অপর কৃষক নিউটন মণ্ডল জানিয়েছেন, আমার তিন বিঘা জমিতে প্রতি বছর চুইঝাল চাষ করে আসছি। এতে বছরে ২-৩ লাখ টাকার চুইঝাল বিক্রি হতো। শুধু চুই নয়, চারা বিক্রি ও চুইয়ের পাউডার করেও বিক্রি করা যায়। যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য এই পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেছেন, আমরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে চুইঝালের পাউডার তৈরি করে খেয়েছি, যা খুবই সুস্বাদু। তবে চুইঝাল চিবিয়ে খেয়ে যেই স্বাদ পাওয়া যায়, সেটি গুঁড়া মসলায় পাওয়া যাবে না। তবে গুঁড়া মসলায় আলাদা একটা স্বাদ রয়েছে। এই পাউডার একবার থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছিল। দেশের পাশাপাশি বিদেশের বাজার ধরতে পারলে চুইঝালের কদর বহুগুণে বেড়ে যাবে বলে তিনি জানান।
খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেছেন, চুইঝালের ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা খুলনার কৃষকদের মধ্যে আশা জাগিয়েছে। উৎপাদন লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন চুইঝাল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চুইঝাল একটি সর্বজনীন মশলা জাতীয় খাবার। যে কোনো গোশত বা তরকারির স্বাদ বাড়িয়ে দেয় এটি। গোশতের পাশাপাশি চুইয়ের নানামুখী ব্যবহার শুরু হয়েছে। ঝালমুড়ি, রসুনের ঝালমুড়ি ও চানাচুর মাখা, ছোলার ঘুগনি, ছোলা ভুনা জাতীয় খাবারে এটির প্রচলন বেড়েছে ব্যাপক হারে। এই উদ্ভিদের শিকড় থেকে শুরু করে প্রতিটি অংশই ভেষজ ক্ষমতাসম্পন্ন। তাছাড়া এই উদ্ভিদে আইসোফ্লাভোন, অ্যালকালয়েড, পিপালারিটিন, পোপিরন, পোলার্টিন, গ্লাইকোসাইডস, মিউসিলেজ, গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ, সিজামিন, পিপলাস্টেরল থাকে। এসব উপাদানের সঙ্গে থাকা অন্যান্য উপাদান ক্যান্সার, হৃদরোগ, শরীর ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, গ্যাস্ট্রিক, অ্যাজমা, অনিদ্রাসহ অসংখ্য রোগের প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে। তাছাড়া চুইঝাল কফ পরিষ্কার করার পাশাপাশি সর্দি জ্বর ভালো করে। এতে থাকা ঝাঁজ ভাব যে কোনো সর্দি এবং কাশির বিশেষ উপকার করে। যে কোনো ব্যথা দ্রুত কমার সঙ্গে সঙ্গে চুইঝাল টনসিল ও লিভার সমস্যায় টনিক হিসাবে কাজ করে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম ‌বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় সাড়ে ৩ হেক্টর জমিতে চুই ঝালের চায় হয়। জেলায় বিভিন্ন বাড়িতে লাগানো পাশাপাশি এখন কেউ কেউ বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ শুরু করছে।

জন্মভূমি ডেস্ক November 28, 2025
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article সাতক্ষীরায় ‌নতুন রূপে সেজেছে মিনি সুন্দরবন
Next Article সাতক্ষীরা ১আসনে ‌দুই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ভোটের আশায় মাঠ দাবিয়ে বেড়াচ্ছে

দিনপঞ্জি

December 2025
S M T W T F S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
« Nov    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
তাজা খবরসাতক্ষীরা

উপকূলীয় মানুষের জন্ম রক্তে, মরণ লোনা পানিতে

By করেস্পন্ডেন্ট 1 hour ago
সাতক্ষীরা

পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি

By জন্মভূমি ডেস্ক 11 hours ago
খুলনাতাজা খবর

খুলনা-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী

By জন্মভূমি ডেস্ক 11 hours ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

তাজা খবরসাতক্ষীরা

উপকূলীয় মানুষের জন্ম রক্তে, মরণ লোনা পানিতে

By করেস্পন্ডেন্ট 1 hour ago
সাতক্ষীরা

পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি

By জন্মভূমি ডেস্ক 11 hours ago
খুলনাতাজা খবর

খুলনা-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী

By জন্মভূমি ডেস্ক 11 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?