শরণখোলা আঞ্চলিক অফিস : শরণখোলায় সুন্দরবনে কর্মস্থলে থাকলেও তাকে গ্রামে মারামারি মামলায় আসামী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগ করেছেন এজাহার নামীয় আসামী বনকর্মচারী মোঃ মিরাজ হাওলাদার।
শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের মোফাজ্জেল হাওলাদারের পুত্র মোঃ মিরাজ হাওলাদার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমি দুই বছর যাবৎ পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের চরখালী টহল ফাঁড়ীতে নৌকাচালক পদে কর্মরত রয়েছি। গত ৩ জানুয়ারী”২৩ তারিখে আমি চরখালী টহল ফাঁড়ির অন্য ষ্টাফদের সাথে পাথরঘাটার চরদুয়ানী বাজারে সরকারী ট্রলার মেরামত কাজে নিয়োজিত ছিলাম। অথচ ঐ তারিখের ঘটনা দেখিয়ে শরণখোলা থানায় গত ২৫ জানুয়ারী”২৩ তারিখ জনৈকা ইসরাত জাহান মৌ বাদী হয়ে দায়েরকৃত একটি মারামারি মামলায় আমাকে ৩ নম্বর আসামীভূক্ত করা হয়েছে। মামলায় কথিত ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই এমনকি দুরতম সম্পর্ক নেই। একটি মহল অসৎ উদ্দেশ্যে আমার চাকুরী ক্ষতিগ্রস্থ করার অপচেষ্টায় ঐ মামলায় আমাকে আসামী করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। মামলার সুষ্ঠ তদন্ত করে ঐ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবী জানাচ্ছেন মিরাজ হাওলাদার।
চরখালী টহল ফাঁড়ীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্টার দিলীপ মজুমদার মামলার খবরে বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, উল্লেখিত শরণখোলা থানার মামলার ঘটনার তারিখে নৌকাচালক মিরাজ হাওলাদার সরকারী ট্রলার মেরামতের কাজে চরদুয়ানী ছিলো। মিরাজকে আসামী তালিকা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে তিনি একটি লিখিত প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন বলে ঐ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন।