
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : পশ্চিম সুন্দরবনে সাতক্ষীরা রেঞ্জে সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও দক্ষিণ কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে চলছে রাম রাজত্ব।খোদ বনমন্ত্রী মহোদয় প্রকাশিত খবর গুলো দেখে উর্দ্ধতন বন কর্মকর্তাদের প্রথম বারের মতন সতর্ক করার পরেও সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও দক্ষিণ কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বহাল তবিয়তে ঘুষ বাণিজ্যর মাধ্যমে হাজার হাজার নৌকা পশ্চিম সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া আহারণ করাচ্ছে।সূধী মহলের অভিমত মনে হয় সুন্দরবনের মালিক সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও দক্ষিণ কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান। সম্প্রতি ১লা জুন হইতে তিন মাসের জন্য মাছ কাঁকড়া ও পর্যটক সহ সব ধরনের প্রবেশ অধিকার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সরকারি আইনে বলা হয়েছে এই তিন মাস সুন্দরবনের জলাশয়ে মাছের প্রজনন মৌসুম কিন্তু সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও দক্ষিণ কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এই আইনের কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে কৈখালী, কদমতলা, বুড়িগোয়ালিনী ও কোবাতক স্টেশনের আওতাধীন মাছ কাকড়া আহরণ কারিদের প্রতি নৌকায় ১৫ দিনে ৫০০০টাকার ঘুষ বাণিজ্যর বিনিময় মাছ ও কাঁকড়া আহারণ করাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করায় গত ১৬ই জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও দক্ষিণ কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের নির্দেশে ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে এই প্রতিবেদককে হত্যার চেষ্টায় গুরুত জখম করা হয়। বর্তমান তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন।তার শরীরে নয়টি ফ্র্যাকচার ধরা পড়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম কে দেশের বাইরে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে খোদ বনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী মহোদয়ের সাথে ১৮ই জুলাই সকাল নয়টায় বিস্তারিত কথা হয়।ঐনি সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের কাছে তার শারীরিক খোঁজ খবর ও বন বিভাগের দুর্নীতির ধরন গুলো জানতে চায় সিরাজুল ইসলাম বনমন্ত্রী মহোদয় কে অবহিত করেন বর্তমান বন্ধের সময় সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও দক্ষিণ কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ঘুষ বাণিজ্যর বিনিময় তিন হাজার নৌকা পশ্চিম সুন্দরবনে অবাধে চলছে।মাছ কাকড়া আহরণ কারীরা লোকালয় থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। একটি বিএলসি ৩৪ টাকা সরকারি রাজস্ব স্থলে নেওয়া হচ্ছে ১০০০টাকা তাছাড়া যখন সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি থাকে তখন দুই জন মাছ কাকড়া আহরণ কারীর এক সপ্তাহের সর্বোচ্চ ২৫০ টাকার রাজস্ব স্থলে নেয়া হয় ১২০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ঘাইজাল নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশে কোন অনুমতি না থাকলেও সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও দক্ষিণ কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বহাল তবিয়তে জেলেদের ঘাইজাল টানাচ্ছে। তাদের এই সুযোগ নিয়ে জেলেরা বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে সুন্দরবনে মৎস্য আহরণ করছে এর জন্য একমাত্র দায়ী সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও দক্ষিণ কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান দায়ী।এই সমস্ত বিষয় শুনে বনমন্ত্রী মহোদয় হতো বাক হয়ে যান এবং প্রকাশিত খবরের কাগজের পাতা গুলো মন্ত্রী মহোদয়ের হোয়াটসঅ্যাপ দিতে বলেন। পরে মন্ত্রী মহোদয় বন বিভাগের অধ্যতন কতৃপক্ষকে সাসালে ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও দক্ষিণ কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান দালালদের মাধ্যমে মাইকিং করে সুন্দরবন থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু একদিন যেতে না যেতেই দেশে জরুরী অবস্থা ও নেটওয়ার্কের বেহাল দশা থাকায় আবারো সব নৌকা সুন্দরবনে পাঠিয়েছেন। বর্তমান বন বিভাগের কোন কতৃপক্ষক সুন্দরবনে সাতক্ষীরা রেঞ্জে আকর্ষিত কোন পরিদর্শনে গেলে এই সমস্ত অভিযোগের সত্যতা মিলবে।এ ব্যাপারে ৩০ জুলাই বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো সাথে কথা হলে তিনি কিছুটা আবেগ হয়ে বলেন সাংবাদিকদের টাকা দিতে পারলে সুন্দরবনের খবর ভালো আর না দিতে পারলে অভিযোগের শেষ নেই।