By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: সুন্দরবনের বাঘ কেড়ে নিয়েছে স্বামী, নদী দিয়েছে জুলেখার জীবিকা
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > সাতক্ষীরা > সুন্দরবনের বাঘ কেড়ে নিয়েছে স্বামী, নদী দিয়েছে জুলেখার জীবিকা
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সুন্দরবনের বাঘ কেড়ে নিয়েছে স্বামী, নদী দিয়েছে জুলেখার জীবিকা

Last updated: 2025/10/25 at 4:13 PM
জন্মভূমি ডেস্ক 14 hours ago
Share
SHARE

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সকাল, বিকেল কিংবা রাত নয়, ভাটা হলেই জাল হাতে নদীতে নামেন। নদীর এ মাথা থেকে ও মাথা জাল টানেন। কোনো ঝুঁকিই তাঁর কাছে ঝুঁকি মনে হয় না। বড় আপন মনে হয় সুন্দরবনের এই মামুদো নদীকে। এই নদীতে যে তাঁর জীবন বাঁধা। স্বামী করিম গাজী বাঘের পেটে যাওয়ার পর এ নদীই তাঁকে দিয়েছে দিশা। সেখানে জাল টেনে চিংড়ি রেণু ধরে প্রায় ২২ বছর চলছে জুলেখা বিবির (৫২) বেঁচে থাকার নিরন্তর লড়াই।

জুলেখা বিবির বসবাস সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনের একেবারে পেটের মধ্যে গোলাখালী গ্রামে। হঠাৎ করে দেখলে মনে হবে এ তো গ্রাম নয়, সুন্দরবন। তিন দিক দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে সুন্দরবন, একদিকে ধনচিখালী নদী। এখানে ৭৮টি পরিবারের পাঁচ শতাধিক মানুষের বসবাস। আধুনিক কোনো সুযোগ–সুবিধা এখানকার মানুষকে স্পর্শ করেনি। সবার একমাত্র বেঁচে থাকার অবলম্বন সুন্দরবন আর সুন্দরবন–সংলগ্ন নদীগুলো।

সাতক্ষীরা শহর থেকে গোলখালী গ্রাম প্রায় ১০০ কিলোমিটার। সম্প্রতি ভাঙাচোরা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে কথা হয় জুলেখা বিবির সঙ্গে। সকাল তখন সাড়ে ১০টা। গোলাখালী গ্রামের মানুষ নদীতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জুলেখা বিবিও প্রস্তুতি নিচ্ছেন নদীতে নামার।

জুলেখা বলে চলেন তাঁর জীবনের গল্প, ‘তখন আমার বয়স ২৯ কিংবা ৩০ হবে। তিন মেয়ে ও এক ছেলের মা আমি। কুলে সাবর ছোট সাবাল (ছেলে) মোস্তাফা কামাল। বয়স তাঁর বছর পেরুয়ে সবে। একদিন সুকালে ওর বাপ করিম গাজী ও একই এলাকার নওসাদ সরদার, গণি সরদার, ইউসুফ মোল্যাসহ পাঁচ-ছয় জন সুন্দরবনে গিইলো মাছ মারতি। পরের দিন ২০০১ সালের ২৭ মে খবর এল আমার স্বামীকে বাঘে খাইছে। এক দিন পরে দুপুরে ওর বাপের লাশ এল। চিনতে পারিনি ক্ষতবিক্ষত দেহ। কবর দিলাম এই গোলাখালী গেরামে।’

স্বামীকে হারানোর পর কয়েক দিন নির্বাক হয়ে গিয়েছিলেন চার সন্তানের মা জুলেখা। কীভাবে সংসার চলবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে এক বছরের মোস্তফাকে বাড়িতে রেখে নদীতে নামেন রেণু ধরতে।

গোলাখালী গ্রামে পাঁচ কাঠা জমি কিনে মাথা গোঁজার ঠাঁই করেছেন জুলেখা বিবিছবি জুলেখা বিবি বলেন, ‘ওই যে ঝাঁপ দিলাম। এখনো প্রতিদিন মামুদো নদীতে ভাটা হলে ঝড়–বৃষ্টি কিংবা দুর্যোগ উপেক্ষা করে নদীতে ঝাঁপ দেই। মাছ ধরি। তা বিক্রি করে চার সন্তানকে বড় করছি। তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। সেই এক বছরের মোস্তাফা কামাল এখন খুলনা বিএল কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়ালেখা কুরে।’

জুলেখা জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর নদী থেকে চিংড়ির রেণু ধরে তাঁর জীবিকা চলে। স্বামী বাঘের পেটে যাওয়ার পর এক টাকাও কেউ সহযোগিতা করেনি। ২০০৮-০৯ সালের দিকে ১২ হাজার টাকা দিয়ে গোলাখালী গ্রামে পাঁচ কাঠা জমি কিনে মাথা গোঁজার ঠাঁই করেছেন। মাটির দেয়ালের টিনের ছাউনি দিয়ে করেছেন একটি ঘর। সেখানে ছেলেকে নিয়ে বসবাস করেন। ছাউনি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। সেই থেকে মামুনদো নদীতে কোনো দিন ৫০০-৬০০ টাকা, আবার কোনো দিন এক টাকাও আয় হয় না। এভাবেই প্রায় ২২ বছর তাঁর নদীর সঙ্গে সখ্য।

আর্থিক সংকটের কারণে ছেলে সব সময় খুলনায় থাকতে পারেন না উল্লেখ করে জুলেখা বিবি বলেন, ছেলে পরীক্ষার তিন মাস আগে খুলনায় যান। এ সময় তিনি বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ২০ হাজার টাকা করে ছেলেকে পাঠান খুলনায়। তখন সপ্তাহে কিস্তি দিতে হয় ৫৫০ টাকা।

স্বামী মারা যাওয়ার পর নদী থেকে চিংড়ির রেণু ধরে জীবিকা চলে জুলেখা বিবির আগে খুব একটা সমস্যা হতো না জানিয়ে জুলেখা বলেন, ২০২১ সালের পর থেকে তিন মাস (১ জুন-৩১ আগস্ট) সুন্দরবন ও সুন্দরবন–সংলগ্ন নদীতে মাছ, কাঁকড়া ধরাসহ সুন্দরবনে প্রবেশে জেলেদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে। এ সময় তিনি আর নদীতে নামতে পারেন না। বেঁচে থাকতে হলে ঋণ নিয়ে চলতে হবে। তাঁর মতো সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল অন্য জেলেরাও সংকটে পড়েছেন।

ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে জুলেখা বিবি বলেন, স্বামীর মতো ছেলেকেও যেন সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের খোরাক হতে না হয়, এ জন্য তিনি সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে সহযোগিতা চান।

স্থানীয় রমজান নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন ‌বলেন, জুলেখার জীবন সংগ্রামী জীবন। তিনি এই পশ্চাৎপদ এলাকায় একজন অনুকরণীয় মা। জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাস শুধু জুলেখার মতো অনেক জেলে নানা সংকটে থাকেন। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে জুখেলার জন্য কিছু করার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি।

জন্মভূমি ডেস্ক October 26, 2025
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article উপকূলে বাঁধের ফাঁদ, কতকাল?
Next Article বৃষ্টিতে শীতকালীন সবজি চাষে পিছিয়ে সাতক্ষীরার ‌কৃষকেরা

দিনপঞ্জি

October 2025
S M T W T F S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
« Sep    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
তাজা খবরসাতক্ষীরা

তালায় ‌‌আগাম শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকের মুখে হাসি

By জন্মভূমি ডেস্ক 3 hours ago
যশোর

যশোরে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত:৩৭ দপ্তরের বিরুদ্ধে ৭৫ অভিযোগ

By জন্মভূমি ডেস্ক 4 hours ago
যশোর

মিথ্যা সংবাদ ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন

By জন্মভূমি ডেস্ক 4 hours ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

তাজা খবরসাতক্ষীরা

তালায় ‌‌আগাম শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকের মুখে হাসি

By জন্মভূমি ডেস্ক 3 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

টেকসই উপকূল ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে

By জন্মভূমি ডেস্ক 4 hours ago
সাতক্ষীরা

তালায় আগাম সবজি চাষে কৃষকদের ভাগ্য বদল

By জন্মভূমি ডেস্ক 8 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?