জন্মভূমি ডেস্ক : বিএনপির তিন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ চলছে। শনিবার (২২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক কোরআন তেলাওয়াত করেন। এরপর খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীর জন্য দোয়া কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
বিকেল সাড়ে ৩টায় আনুষ্ঠানিক সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হলেও দুপুরে পর থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিকে সমাবেশে অংশ নিতে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়িয়ে রমনা পার্ক ও মৎস্য ভবনসহ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গরমের কারণে রমনা পার্কের ভেতরে বিভিন্ন গাছের নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন নেতাকর্মীরা। আবার অনেকে পার্কের সামনের সড়কে মিছিল করছেন। কেউবা আবার মৎস্য ভবন মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। রাজধানীসহ কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগ থেকে সমাবেশে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীদের এভাবে সেগুনবাগিচা, হাইকোর্ট মোড়ে ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মিছিল করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে সমাবেশের শুরুতে বিভিন্ন সময়ে নিহত ও গুমের শিকার বিএনপি নেতাকর্মীদের আত্মীয়-স্বজনদের বক্তব্য দিতে দেখা যায়। নরসিংদীর নিহত যুবদল কর্মী শাওনের বাবা বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। একদিন তার বিচার হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার পরিবারের সব ধরনের খরচ বহন করছে বলে জানান শাওনের বাবা।
বিএনপির সমাবেশের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে একটি ড্রোন ক্যামেরা ওড়াতে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিএনপির পক্ষ থেকেও একটি ড্রোন উড়িয়ে সমাবেশ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারাও মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন।