ক্রীড়া প্রতিবেদক
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক নেপাল। আজ কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নেপাল ১-০ গোলে ভারতকে হারায়। ১৯ সেপ্টেম্বর নেপাল ও বাংলাদেশ শিরোপার লড়াইয়ে নামবে।
২০১০ সালে শুরু হওয়া সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের এটি ষষ্ঠ আসর। গত পাঁচ আসরেই চ্যাম্পিয়ন ছিল ভারত। এবারই প্রথম ভারতবিহীন ফাইনাল হবে। ফলে সাফ নারী ফুটবল এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে।
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি সেমিফাইনালই ছিল আজ। বৃষ্টিস্নাত মাঠে পরপর দুই ম্যাচ হওয়ায় দ্বিতীয় ম্যাচটি অতিরিক্ত কাদার মধ্যেই হয়েছে। সেই ম্যাচে নেপাল প্রথমার্ধে জয়সূচক গোলটি করে। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময় নেপালের রাজমিত বক্সের মধ্যে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জোরালো শটে বল জালে জড়ান।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ভারত সমতা আনার সব চেষ্টাই করেছে। নেপালের রক্ষণভাগের সঙ্গে পেরে উঠেনি গত পাঁচ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে সহকারী রেফারি ছিলেন বাংলাদেশের সালমা আক্তার। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপর দশরথ স্টেডিয়াম উল্লাসে ফেটে পড়ে স্বাগতিকরা নিজেদের মাটিতে ফাইনাল খেলার আনন্দে।
\ সাবিনার হ্যাটট্রিকে ভুটানকে ৮-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হ্যাটট্রিকে ভুটানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে গেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
ভুটান এবারই প্রথম সাফের নারী ফুটবলের সেমিফাইনাল খেলছে। শ্রীলঙ্কাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে তারা শেষ চারে উঠেছে। ভুটান বাংলাদেশকে অতীতে হারানো তো দূরের কথা, বলই জালে পাঠাতে পারেনি। তাই ম্যাচটিতে বাংলাদেশই পরিষ্কার ফেভারিট ছিল। এরপরও খানিকটা শঙ্কা ছিল ভুটানের কোচ বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলার। তার কোচিংয়ে আগের ভুটানের চেয়ে এই ভুটানের বেশ পার্থক্য রয়েছে।
ম্যাচে অবশ্য সেই পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়নি। খেলা শুরুর দুই মিনিটের মধ্যেই সিরাত জাহান স্বপ্না বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন। কাউন্টার অ্যাটাকে স্বপ্না বল পেয়ে বক্সের মধ্যে আগুয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। খানিকটা ইনজুরি নিয়ে খেলা স্বপ্নাকে ম্যাচের ১২ মিনিটে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয়।
স্বপ্না বেরিয়ে যাওয়ার ছয় মিনিট পর বাংলাদেশ ব্যবধান দ্বিগুণ করে। এবার গোলদাতা অধিনায়ক সাবিনা। মিডফিল্ড থেকে বল পেয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। গোলরক্ষককে একা পেয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন।
৩০ মিনিটে ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রাণী সরকার হেডে গোল করে স্কোরলাইন ৩-০ করেন। পাচ মিনিট পর ব্যবধান আরো বাড়ান বদলি ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা। ৪-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতির নয় মিনিট পর অধিনায়ক সাবিনা খাতুন নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। সংঘবদ্ধ আক্রমণে বক্সের মধ্যে ফাঁকা জায়গায় বল নিয়ে ঠাÐা মাথায় প্লেসিং করেন এই ফরোয়ার্ড। তিন মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে নেয়া সাবিনার ফ্রি কিক গোলরক্ষকের হাত থেকে ফস্কে গেলে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মাসুরা পারভীন টোকা দিয়ে বল জালে পাঠান।
শেষ সময়ে তহুরা খাতুন ব্যবধানটা ৭-০ করেন। এরপর একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সাবিনা। তাতে বাংলাদেশ ৮-০ গোলের বিশাল জয় নিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে।
স্বাগতিকরাই সাবিনাদের ফাইনালের প্রতিপক্ষ
Leave a comment