
বিজ্ঞপ্তি
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর খুলনায় বিভিন্ন সড়কে উন্নয়ন কর্মকান্ডের নামে ব্যাপক জনদুর্ভোগ এবং সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি করছে। স¤প্রতি খুলনা খানজাহান আলী বাইপাস সড়কে দুর্ঘটনারোধে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করে। কিন্তু দশ ইঞ্চি ইটের গাথুনি দিয়ে নির্মাণ করা সেই ডিভাইডার এতই দুর্বল এবং ভঙ্গুর যে প্রতিদিনই কোন না কোন যানবাহনের ধাক্কায় তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। সেই সাথে সড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এই নির্মাণ এবং ডিভাইডার টেকসই করতে উচিত ছিলো দুইপাশের ডিভাইডারের মাঝে বালু অথবা মাটি দিয়ে ভরাট করা। তা না করে ১০ ইঞ্চি পুর ইটির দেওয়াল/ডিভাইডার রক্ষা করতে লোহার লাঠি দিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারের অর্থ অপচয় করা হচ্ছে। সড়ক নিরাপত্তার কোন কাজই হচ্ছে না। এই সড়কে অবশ্যই রোড ডিভাইডার প্রয়োজন কিন্তু তা কোনভাবেই এমন হওয়া উচিত নয়।
অপরদিকে তাদের আরেক হটকারী সিদ্ধান্তে পাইপাস সড়কের হাজার-হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে এবং প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন-না তারা ডিভাইডারের মাঝের পথগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। রাস্তা পার হওয়ার জন্য প্রায় ৩ কি.মি. পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে যার ফলে এলাকার মানুষ এবং যানবাহন উল্টোভাবে যাতায়াত শুরু করেছে। অথচ মহাসড়কগুলোতে অবৈধ স্থাপনা, ইট-বালু ব্যবসা তারা বন্ধ করতে পারছে না।
অবিলম্বে খুলনা সড়ক ও জনপথ (সওজ) এর এ ধরনের অপরিকল্পিত কর্মকান্ড বন্ধ করে একটি বাস্তবধর্মী টেকসই সড়ক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা করতে হবে। মানুষকে নিরাপদে পথ চলার ব্যবস্থা করতে হবে। সড়কে যাতায়াত প্রতিবন্ধকতা কোনভাবেই কাম্য নয়। যে সকল রাস্তা পারাপারের পথ বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো খুলে দিয়ে ট্রাফিক সাইন সিগন্যালের ব্যবস্থা করতে হবে।
অবিলম্বে সওজ’র সকল ধরনের অনিয়ম অপরিকল্পিত কর্মকান্ড এবং সরকারের অর্থ অপচয় বন্ধের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র কেন্দ্রিয় কার্য্যকারী সদস্য ও খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্নাসহ সংগঠেন নেতৃবৃন্দ।