জন্মভূমি রিপোর্ট : প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
কারাগারে যাওয়ার ১৩ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
কাশিমপুর মহিলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সুপার মো. শাহজাহান মিয়া জানান, বুধবার রাতে আদালত থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের মুক্তির কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছে। যাচাই-বাছাই শেষ আজ তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এর আগে বুধবার বিকেলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান শুনানি শেষে হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন মঞ্জুর করেন।
প্রতারণা মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড পাওয়া হেলেনা গত ২ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২ নভেম্বর মামলাটিতে হেলেনা জাহাঙ্গীর আত্মসমর্পণের পর ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চলতি বছরের ২০ মার্চ হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেকের দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের সাজা দেওয়া হয়। তবে রায়ের দিন উপস্থিত না থাকায় আদালত হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
২০২১ সালের ২ আগস্ট রাতে পল্লবী থানায় সাংবাদিক আব্দুর রহমান তুহিন বাদী হয়ে প্রতারণার মামলাটি করেন। মামলায় জয়যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর, জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী, স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ারসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক শাহিনুর ইসলাম অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আদালত ২৬ জনের মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।