জন্মভূমি ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রথমবারের মতো ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি’ প্রদান করেছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মিলনায়তনে এক হাজার ক্রীড়া শিক্ষার্থীকে সবমিলিয়ে এক কোটি ৮৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকার বৃত্তি প্রদান করা হয়। এছাড়া ৫৯ জনকে আর্থিক ও চিকিৎসা সহায়তা বাবদ দেওয়া হয় ৮৩ লাখ পাঁচ হাজার টাকার চেক।
শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করার জন্য এই ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক ১২ হাজার টাকা এবং একাদশ থেকে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন বাৎসরিক ২৪ হাজার টাকা।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাহাদাতের ৯ দিন পূর্বে ১৯৭৫ সালের ৬ আগস্ট ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনের মাধ্যমে পরে ২০০৯ সালে পুনর্গঠন করেন ফাউন্ডেশনটি। যার মাধ্যমে বর্তমান সরকারের অধীনে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিডমানি হিসেবে ৫০ কোটি টাকা প্রদান করেছেন। যার ফলে বর্তমানে সর্বমোট ৬৭.৮৫ কোটি টাকা যা বিভিন্ন তফসিলী ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে রক্ষিত আছে। যার মুনাফা এবং প্রতি বছর সরকারের রাজস্ব বাজেট বিশেষ অনুদান হিসেবে অসচ্ছল, আহত ও অসমর্থ ক্রীড়াসেবীদের মাসিক ক্রীড়া ভাতা, চিকিৎসা সহায়তা এবং বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।’
বৃত্তি অনুষ্ঠানের আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে শেখ কামালের ম্যুরাল উদ্বোধন করা হয়
২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৯,৫৮৭ জনকে ১৯ কোটি ৪ লাখ টাকা ক্রীড়াভাতা প্রদান করা হয়েছে। ফাউন্ডেশনের সিডমানির মুনাফা থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট ২২৩ জন ক্রীড়াসেবীকে চিকিৎসা আর্থিক সহায়তা হিসেবে দুই কোটি ৭২ লাখ পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া করোনাকালে ফাউন্ডেশন থেকে ৭৭৬৭ জন অসচ্ছল ক্রীড়াসেবীর প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা হারে তিন কোটি ৮৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বিশেষ অনুদান দেওয়া হয়।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিস্টার কল্পনা কস্তা উপস্থিত ছিলেন।