জন্মভূমি ডেস্ক : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১৫৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন চলছে ভোট গণনা। সন্ধ্যা নাগাদ ফলাফল আসতে শুরু করবে।
প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও ভোটারের উপস্থিতি আশানুরূপ ছিল না। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম চার ঘণ্টায় প্রায় ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে পরের চার ঘণ্টায় সেই পরিমাণটা বাড়বে বলে আশা করছে কমিশন।
দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় সকাল ৮টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টায় গড়ে ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ছোটখাট মিলিয়ে ১৮টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।
জাহাংগীর আলম বলেন, ভোটের আগে একজন আনসার সদস্য স্ট্রোক করে এবং ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে একজন বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।
ইসি সচিব আরও বলেন, সাধারণত আমাদের দেশে দুপুরের পর ভোটার উপস্থিতি বাড়ে। আশা করি প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার বাড়বে।
দ্বিতীয় ধাপের এই নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে সাতজন চেয়ারম্যান, আটজন ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাতজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। রাউজান ও কুমিল্লা আদর্শ সদর– এই দুই উপজেলায় তিনটি পদেই একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এসব উপজেলায় ভোট করার প্রয়োজন পড়ছে না।
এই পর্বে ১৩ হাজার ১৬টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ ৯১ হাজার ৫৮৯টি। ভোটার তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক কোটি ৭৯ লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৪ জন এবং নারী এক কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭ জন। হিজড়া ভোটার ২৩৭ জন।
এই ধাপে মোট এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের জন্য তফসিল হয়েছিল ১৬১ উপজেলার। স্থগিত, ধাপ পরিবর্তন ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার ভোট হয় ১৫৬ উপজেলায়।
ষষ্ঠ উপজেলা ভোটে দেশের মোট ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। পরে মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বাকিগুলোয় ভোটের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয় ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে ৩৬ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়ে।
এর মধ্যে প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২৪ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি; বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোট হবে।
২৯ মে তৃতীয় ধাপে ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।