তালা প্রতিনিধি
এবারের কোরবানি ঈদে সাতক্ষীরায় আলোচিত গরুর তালিকায় ছিল ‘রাসেল বস’। ভারতীয় লাল সিন্ধি জাতের এই ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ৭ ফুট ১০ ইঞ্চি, উচ্চতা ৫ ফুট, ওজন ২৩ মণ। কোরবানিতে এই বিশাল ওজনের ষাঁড়টি সারা ফেলবে বলে আশা করেছিলেন গরুটির মালিক সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী ইউনিয়নের আড়ুয়াখালী গ্রামের আব্দুর রহিম সরদার। কিছুদিন আগে গরুটির দর ৯ লাখ টাকা উঠলেও বর্তমানে ৪ লাখ টাকার বেশি বলছেন না কেউ। এদিকে ঈদের আর মাত্র একদিন বাকি থাকলেও প্রত্যাশিত অনুযায়ী দর না পাওয়ায় একান্তই বাধ্য হয়ে জেলার বিভিন্ন গরু হাটে ‘রাসেল বস’কে নিয়েও বিক্রি করতে পারেননি আব্দুর রহিম।
জেলা শহরে বিক্রি করতে না পেরে বিগত কয়েকদিন ধরে গরুটি বিক্রির জন্য শুক্রবারও খুলনার একটি পশু হাটে নিয়ে যান তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত গরুটি অবিক্রিত রয়েছে। এর আগের বছরও দাম কম হওয়ায় রাসেল বসকে বিক্রি না করে ফিরিয়ে আনা হয়। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গরুটির মালিক আব্দুর রহিম।
বাজারে বড় গরুর চাহিদা কম হওয়ায় কিছুদিন আগে স্থানীয় পর্যায়ের যে সমস্ত বেপারিরা গরুটির দাম ৯ লাখ টাকা বলেছিল তারা এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফ বলেন, এবছর সাতক্ষীরায় চাহিদার চেয়ে প্রায় দিগুণ কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কোরবানির পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৪৮ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। তবে এবছর বড় গুরুর চাহিদা কম বলে জানান তিনি।