জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনার কয়রায় খান সাহেব কোমর উদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষ ড. চয়ন কুমার রায়ের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য, জমির বায়না বাবদ ভুয়া ভাউচার তৈরি, অত্যাচারী, চাঁদাবাজ, ফ্যাসিবাদের লেজুড়বৃত্তি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধীতাকারি, ভুয়া ভাউচার তৈরি, কলেজ ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, কর্মচারীদের নামীয় লোন আত্মসাৎ, ভুয়া সার্টিফিকেট তৈরিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।
আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১১টায় খান সাহেব কোমর উদ্দীন কলেজের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে কলেজ ক্যাম্পাসে এক মিছিল শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খান সাহেব কোমর উদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থী মাছুম বিল্লাহ, আয়ুব আলী, সাকিব, রানা, জাহাঙ্গির আলম, এম এম সাব্বির আলম, ইয়াছিন আরাফাত, তানভীর, সাইফুল প্রমুখ।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, অধ্যক্ষ ড. চয়ন কুমার রায় ২০১৭ সালে যোগদানের পর থেকে কলেজ পরিচালনার নীতিমালাকে অবজ্ঞা করে নানা অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েন। এসময় শিক্ষার্থীরা এক দফা একদাবী জানিয়ে দুর্নীতিবাজ, অত্যাচারী, চাঁদাবাজ, ফ্যাসিবাদের লেজুড়বৃত্তি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধীতাকারি অধ্যক্ষ ড. চয়ন কুমার রায়কে পদত্যাগসহ গ্রেফতারপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
জানা যায়, এর আগেও গত ২৯ এপ্রিল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিকার ও পদত্যাগ দাবি করে কলেজের সামনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও এলাকার সুশীল সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা ।
এব্যাপারে জানতে চাইলে এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে খান সাহেব কোমর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর চয়ন কুমার রায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে এর আগেও ষন্ত্র হয়েছে। তদন্তে এসেও কোন সত্যতা পাইনি। বর্তমানে সরকার পতনের ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে আবার আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার।