জন্মভূমি ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার নীরব ও নতজানু। সমুদ্র সীমানায় মিয়ানমারের যুদ্ধ জাহাজ, এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমের উপর হুমকি। দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় এ সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এখনই এ সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।
আজ রোববার (১৬ জুন) দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতীপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে তিনি এসব কথা বলেন।
বেনজীর-আজিজের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, অনির্বাচিত এই সরকারের উপর ভর করে লুটপাট করছে সরকারি কর্মকর্তারা। আজ থলের বিড়ালের মতো সব বেরিয়ে আসছে। বেনজীর-আজিজদের আওয়ামী লীগই বলির পাঠা বানিয়েছে। সাবেক ডিএমপির কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার অনেক ফিরিস্তি বের হচ্ছে। শাসন ব্যবস্থা এ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। দেশ পরিচালনায় এ সরকারের নানা ব্যর্থতা তুলে ধরে তাদের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এবারের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি ছিল না। তারপরেও আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে পারেনি। কারণ তারা রাষ্ট্র যন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে, নির্বাচন কমিশনকে নিয়ন্ত্রণ করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ন্যায় সংগত আন্দোলন কখনও ব্যর্থ হয় না। সরকারের দমননীতির কারণে সাময়িকভাবে কিছুটা গতি কমেছে, যা আগামীতে আরও বেগবান হবে। এখন শুধু বিএনপি একাই মাঠে নেই, সঙ্গে ৬৩টি রাজনৈতিক দল একত্রিত হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ-কর্মীদের উদ্দেশে করে মির্জা ফখরুল বলেন, সাংবাদিকরা সাহস করে অনেক কিছু বলতে পারেন না। সাহস করে না বললে এক সময় মিডিয়া থাকবে না। ১৯৭৫ সালে ১৬ জুন আওয়ামী লীগ সরকার ৪টি পত্রিকা বাদে সব বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই সময় অনেক সংবাদকর্মী করুণ অবস্থা পার করেছিল। আসল কথা আপনারা সংবাদ-কর্মীরা মালিক পক্ষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারবেন না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ-সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ প্রমুখ।