নওয়াপাড়া অফিস : অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় দিনমজুর রফিকুল ইসলামকে পেটানোর অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি রফিকুল ইসলামের ছেলে আরমান শেখ বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন।
আরমান হোসেন তার অভিযোগে বলেছেন, চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমান বিএনপি দলের হয়ে মটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে। তার পিতা আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। নির্বাচনে তার পিতা চেয়ারম্যানের কাজ না করায় পূর্ব থেকে ক্ষিপ্ত ছিলো। ভোটে জেতার পর চেয়ারম্যান এলাকার উন্নয়নে বরাদ্দ টাকা আত্মসাত করছে বলে এলাকায় লোকমুখে প্রচার হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তালতলা খেয়াঘাটে তার পিতা ও আরো কয়েকজ মিলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ বিষয়ে কথা বলাবলি করছিলো। পরের দিন ১২ জানুয়ারি রাত সাড়ে আটটার সময় তার পিতাকে লোক মারফতে ডেকে নিয়ে যায়। চেয়ারম্যান তার পিতাকে চেয়ারম্যানের পুকুর পাড়ে অবস্থিত একটি ক্লাবে নিয়ে যায়। সেখানে চেয়ারম্যান তার পিতাকে গালিগালাজ করে। এসময় চেয়ারম্যান তার পিতাকে তার লোকজনকে পেটাতে হুকুম দেয়। তার হুকুমে স্থানীয় বিভাগদি গ্রামের সঞ্জয় সেন(৩৭) ও মান্নন মোড়ল(৫০) লোহার রড ও লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় শরীরের নানা স্থানে পেটাতে থাকে। তার পিতার চিৎকার শুনে তার মা ও দাদী ছুটে এসে পিতার প্রাণ ভিক্ষা চায়। পরে চেয়ারম্যান তার পিতাকে ভালো হয়ে যাওয়ার কথা বলে ছেড়ে দেয়। তার পিতাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে সেখানে চার দিন চিকিৎসার পর বাড়ি নিয়ে আসে। এ ঘটনায় সে (আরমান শেখ) বাদী হয়ে গত ১৬ তারিখ সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ করে। তার অভিযোগটি থানার ডিউটি অফিসার জমা নেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্য একেএম শামীম হাসান বলেন, এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ আমি হাতে পাইনি।
চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমান বলেন, কয়েকদিন আগে পত্রিকায় আমার সম্পর্কে রাস্তার কাজ নিয়ে একটি নিউজ এসেছে। এরপর আমি ঢাকায় ছিলাম। রফিকুল উপজেলার বাঘুটিয়া, বুনোরামনগর, শংকরপাশাসহ বিভিন্ন জাগায় যেখানে সে কাজ করে সেখানে গিয়ে বলে বেড়াচ্ছে যে চেয়ারম্যান রাস্তার টাকা মেরে ঢাকায় পালিয়ে গেছে। তাই তাকে মারপিট করেছি।