নওয়াপাড়া অফিস : অভয়নগরে এবিএম মুরাদ হোসেন হত্যার ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হত্যাকারিরা গা ঢাকা দিয়েছে। হত্যার ৪৮ ঘন্টার পেরিয়ে গেলেও পুলিশ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট কাউকে আটক করতে পারেনি। মঙ্গলবার রাত ৮ টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি।
এদিকে নিহত মুরাদ হোসেনের পিতা সহাবুল ইসলাম সাবু বিলাপ করে বলেছেন, তার ছেলেকে একটি চক্র পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে। ওই চক্রটি কোন রাজনীতি করে না। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে সেই দলের ছত্র ছায়ায় থেকে নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। তিনি প্রধান মন্ত্রীর কাছে এদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি করেছেন।
ঘটনার মোটিভ উদঘটন পূর্বক প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের একাধিক সংস্থা কাজ করছেন বলে জানা গেছে। জেলা পুলিশ বুরো অব ইভেস্টিগেশন(পিবিআই) এর ইন্সিপেক্টর শেখ মোনায়েম ও সাব ইন্সিপেক্টর মিজানুর রহমান জানান তারা মামলার মোটিভ উদঘটনের জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন। প্রকৃত আসামী গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত মোটিভ উদঘটন করা সম্ভাব নয় বলে তারা জানান। তারা আশা করছেন দ্রুত মোটিভ উদঘটন ও আসামী গেফতার করা সম্ভব হবে। অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) রাত ৮টা পর্যন্ত এ ঘটনার কোন মামলা হয়নি। এখন মামলার আরজি নিয়ে কয়েক জন থানায় এসেছেন। আজ রাতেই মামলা রজু হবে।’
নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক এস এম মুরাদ হোসেনকে রোববার রাতে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুই হাত, ডান পা কেটে শরীর থেকে বিচিছিন্ন করে ফেলে ও পেটে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে নাড়ী ভুড়ি বের করে ফেলে রেখে চলে যায়। এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসি এসে তাকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে অভয়নগর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স্রে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহতের লাশের ময়না তদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়।
অভয়নগরে মুরাদ হত্যার কোন আসামী আটক হয়নি
Leave a comment