
জন্মভূমি রিপোর্ট : বাঙালি সনাতনী সমাজের একটি অন্যতম বিশেষ ধর্মীয় সামাজিক উৎসব দুর্গাপূজা। আশি^ন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠি থেকে দশম দিন পর্যন্ত ৫দিন চলে এই শারদিয়া দুর্গাউৎসব। আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে এই পূজা। ২৪অক্টোবর বিজয় দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। প্রতিটি মণ্ডপে প্রতিযোগিতামূলকভাবে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। জেলায় ৯৯১টি মণ্ডপ ও পারিবারিকভাবে পালিত হচ্ছে এই উৎসব।
সূত্র জানিয়েছে, এ বছর খুলনায় ৯৯১টি মণ্ডপে পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্ভীদের শারদিয়া দুর্গোৎসব। এর মধ্যে নগরীতে ১০২ ও জেলায় ৮৮৯টি। নগরীর ৮থানায় ১০২টি এবং জেলার কয়রা উপজেলায় ৫৭টি, পাইকগাছা উপজেলায় ১৫৫টি, ডুমুরিয়ায় ২১৪টি, ফুলতলায় ৩৪টি, দাকোপ ৮৪টি, বটিয়াঘাটায় ১০০টি, রূপসায় ৭৫টি, তেরখাদায় ১০৭টি এবং দিঘলিয়ায় ৬৩টি মণ্ডপে পালিত হবে এই বড় ধর্মীয় উৎসব। ইতোমধ্যে কেসিসি ও জেলা প্রশাসন থেকে অনুদান দেয়া হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে সিসি ক্যামেরা, নিজস্ব সেচ্ছাসেবী, আনসার সদস্য ও আইনশৃঙ্খরা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আনসার বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। কেএমপিতে তিনস্তরের নিরাপত্তা এবং জেলায় ১৩০০ পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন। বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু বলেন, নিরাপত্তা বিধানে রাতে যেন লোডশেডিং না হয়। তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় হেলাতলায় দুর্গাপূজা উদ্বোধন করা হয়েছে।সোনাপট্টি পূজা উদ্যাপন কমিটি এর আয়োজন করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। অতিথি ছিলেন খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজি আমিনুল হক। সভাপতিত্ব করেন সোনাপট্টি পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি শ্যামনাথ ভক্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর ইমরুল হাসান, বাংলাদেশ জুয়েলার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শ্যাম প্রসাদ কর্মকার, পূজা উদ্যাপন পরিষদ নগর শাখার সভাপতি শ্যামল হালদার, সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২১নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি জামিরুল হুদা জহর, খুলনা বাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা চেম্বার পরিচালক মো. সোহাগ দেওয়ান, বাংলাদেশ জুয়েলার্স এ্যাসোসিয়েশন খুলনা শাখার সভাপতি সমরেশ সাহা, সাধারণ সম্পাদক শংকর কর্মকার ও সহ-সভাপতি মো. মশিউর রহমান। বক্তৃতা করেন শিবনাথ ভক্ত। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সোনাপট্টি পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যাম চন্দ্র পোদ্দার। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে জমে উঠছে বিভিন্ন বিপনীবিতানগুলো। পিকচার প্যালেস সুপার মার্কেটে রযেছে উপচে পড়া ভিড়। অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় এখানে পণ্য সামগ্যীর দাম কম। রয়েছে সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা।
পিকচার প্যালেস সুপার মার্কেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল বলেন, এখানে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে সুলভ মূল্যে কসমেটিক্স, ইমেটিশন, লেডিস ব্যাগ, থ্রি-পিস , ক্রোকারিজ, গার্মেন্টস, ওয়ান-পিস, জুতা স্যান্ডেলসহ রকমারী খাবার ও পণ্যসামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে। স্বাচ্ছন্দে ক্রেতারা তাদের পছন্দের পণ্যসামগ্রী কিনছেন।