জন্মভূমি ডেস্ক : গাজায় অবিলম্বে সামরিক অভিযান স্থগিত করতে বাধ্য করায় দক্ষিণ আফ্রিকার একটি জরুরি আবেদনের প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শুনানি শুরু করেছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে)। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা মামলার শুনানি শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানির বিষয়টি জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিচার মন্ত্রী রোনাল্ড লামোনা। খবর আল জাজিরার
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালতের সময়সূচির উপর ভিত্তি করে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় ইসরায়েলি গণহত্যার শুনানি শরু হয়েছে। উদ্বোধনী বক্তব্য দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিচার মন্ত্রী রোনাল্ড লামোনা। আজকের শুনানি তিন ঘণ্টা চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলা প্রত্যাখ্যান করতে বিদেশি কূটনীতিকদের চাপ দিয়েছে ইসরায়েল।
গত ডিসেম্বর মাসে গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দিনের এই শুনানিতে পক্ষে–বিপক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরা হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনে নৃশংস সামরিক হামলা বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় ২৩ হাজারের ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১০ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে জমা দেওয়া ৮৪ পাতার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৪৮ সালের গণহত্যার যে কনভেশন, তা লঙ্ঘন করেছে। ইসরায়েল ও দক্ষিণ আফ্রিকা দুটি দেশই জাতিসংঘের গণহত্যার কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ। এতে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আইনি সংস্থা আইসিজেতে বিরোধের নিষ্পত্তি পাওয়ার এখতিয়ার রয়েছে তাদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার করা এই মামলায় সমর্থন দিচ্ছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ৫৭ সদস্যের এই সংস্থায় সৌদি আরব, ইরান, পাকিস্তান, মরক্কোর মতো দেশ গত ৩০ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকাকে সমর্থন জানিয়েছে। ২ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে সমর্থনের কথা জানানো হয়।
এ ছাড়া তুরস্ক, জর্ডান, বলিভিয়া, মালদ্বীপ, নামিবিয়া ও পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও সমর্থন জানানো হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে সমর্থন জানানো হয়েছে। বলিভিয়া বলেছে, এর আগে গত ৩০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলি করিম খানের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, কমোরোস ও জিবুতির সঙ্গে তারা ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অনুরোধ জানায়। অবশ্য এ মামলায় বিরোধিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র।