দেশব্যাপী দেড়শ সেতুর উদ্বোধনকালে
জন্মভূমি ডেস্ক : কোন দল ক্ষমতায় আসতে চাইলে আন্দোলন করেই ক্ষমতায় আসতে হবে। আন্দোলন ছাড়া ক্ষমতায় আসার পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলন করুক আপত্তি নেই। আমরাও সারাজীবন আন্দোলন করেই আজ ক্ষমতায় আসছি। তারা ক্ষমতায় আসতে চায়, আন্দোলন করুক। আন্দোলন করেই এক সময় ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু মানুষের ক্ষতি যেন করতে না পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল। তারা প্রতিদিন আমাদের পদত্যাগ চায়। সে দাবিতে প্রতিদিন আন্দোলন করছে, করুক। আমার আছে জনগণ। আমার তো আর কেউ নেই। বাবা-মা ভাইবোন সবই তো হারিয়েছি।’
তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ১৫০টি সেতু, ১৪টি ওভারপাস, স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্র, ডিটিসিএ ভবন, বিআরটিসির ময়মনসিংহ বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ময়মনসিংহ জেলার কেওয়াটখালী ও রহমতপুর সেতুর নির্মাণকাজ এবং সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহত ব্যক্তি পরিবারের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ৩৯ জেলায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের নবনির্মিত ১৫০টি সেতু ও ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগে ৪০টি, ঢাকা বিভাগে ৩২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭টি, রাজশাহী বিভাগে ২২টি, খুলনা বিভাগে ১২টি, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে আটটি করে এবং সিলেট বিভাগে একটি সেতু উদ্বোধন করেন।
১৫০টি সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং রাজশাহী বিভাগের আটটি ও রংপুর বিভাগের ছয়টিসহ মোট ১৪টি ওভারপাসের দৈর্ঘ্য ৬৮৯ মিটার।
তিন হাজার ২৬৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এক হাজার ১০০ মিটার দীর্ঘ কেওয়াটখালী সেতু এবং ৩৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এক হাজার ৪৭১ মিটার দীর্ঘ রহমতপুর সেতু ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে নির্মাণ করা হবে।
স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন দেশ। স্বাধীন সার্বভোমত্ব নিয়ে এগিয়ে যাক এটা তাদের পছন্দ না। তাই নানা বিরোধীতা করেছে। এজন্য স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় আসে। স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশকে কী দেবে? ২৯ বছরে তারা ক্ষমতায় থেকে দেশকে কী দিয়েছে? বিএনপির আমল থেকে যে অত্যাচার নির্যাতন শুরু হয়েছে মানুষের ওপর, সেটার ধারাবাহিকতা চলে। পরে ২০০৮ এ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। আমরা ক্ষমতায় এসে নানান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছি।