জন্মভূমি ডেস্ক : নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম দফায় ৪৪টি দলের মধ্যে ২২টি দলকে নিয়ে সংলাপ শুরুর কথা থাকলেও ১৪টি দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা হয়েছে। আজ শনিবার (০৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এই সংলাপ শুরু হয়।
সংলাপ শেষে কথা বলেছেন তৃণমূল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য শুনেছি। তারা তাদের প্রস্তুতির কথা বলেছেন। আমরা বলেছি ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি চাইনা। আমরা চাই একটা সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং জনগণের আস্থা আনতে পারে এ ধরনের একটি নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করা। ইসি আমাদের যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমরা দেখব যে তারা বাস্তবিক পক্ষে কতটা প্রস্তুতি নিয়েছে।
আপনারা কি পদক্ষেপ নিতে বলেছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমুর আলম বলেন, আমরা বলেছি একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার জন্য। জনগণ যাতে আগ্রহী হয়, ভোটকেন্দ্রে আসে, নিরাপত্তা থাকে, সব দলের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে এবং সব দলের মধ্যে আস্থা থাকে এ ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করা।
বর্তমান ইসি তো আগে অনেকগুলো ভোট করেছে সামনে জাতীয় নির্বাচন, আপনাদের কি এই ইসির প্রতি আস্থা আছে জানতে চাইলে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, আমরা ক্যাটেগরি অনুয়ায়ী বলেছি যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেখানকার এসপি নির্বাচন করে দিয়েছে। একজন পুলিশ কিভাবে নির্বাচন করে, কীভাবে ধরপাকড় করে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকেনা এটা শুধু আমি না অন্যান্য যারা ছিল তারা সবাই বলেছে।
বর্তমান ইসি ভালো ভোট করতে পারবে কিনা জানতে চাইলে তৈমুর বলেন, তাদের পরিস্থিতি আমরা দেখি তারপর আমরা সব রাজনৈতিক দল মিলে আবারও বক্তব্য দেব।
তাহলে কি আপনাদের এখনো ইসির প্রতি আস্থা আসেনি? জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, তাদের আস্থা অর্জন করতে চাইলে আরও আগাইতে হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২২টি দলের মধ্যে ১৫টি দল মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষ পর্যন্ত একটি দল আসেনি। ৩টি দল সভায় না আসার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। বাকিরা কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
সংলাপে বসা দলগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, তৃণমূল বিএনপি, ইসলামী ঐক্যজোট, এনডিএম, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, এনপিপি, গণফোরাম, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বিএনএফ, গণফ্রন্ট, গণতন্ত্রী পার্টি ও নতুন নিবন্ধিত ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ।
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদকে নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে সংলাপে অংশ নিয়েছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান।
বিএনপিসহ ২২টি দলকে নিয়ে বিকেলে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও সংলাপে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না বলে জানা যায়।
বিএনপি ছাড়াও তাদের জোটের আরও কয়েকটি দল সংলাপে যাওয়ার আগ্রহ নেই বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে। এদের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, কল্যাণ পার্টি, জেএসডি রয়েছে।
এদিকে কোনো জোটে না থাকলেও সংলাপে অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। ইসলামিক দলগুলোর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সংলাপে যাবে না।