ক্রীড়া প্রতিবেদক : আগামী ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৯টি আসরে খেলার রেকর্ড গড়বেন সাকিব আল হাসান। একই পথে রয়েছেন ভারতের রোহিত শর্মাও। তবে এখানেই শেষ নয়, আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চান এই টাইগার পোস্টারবয়।
শুক্রবার (৩১ মে) বিসিবির প্রকাশিত এক ভিডিওকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসরে খেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন সাকিব।
তিনি বলেন, প্রথমত যখন ক্রিকেট খেলাটা শুরু করেছি, (ভাবিনি) এতদিন খেলতে পারব। দ্বিতীয়ত, প্রথম বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে এই বিশ্বকাপ পর্যন্ত যতগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হলো, সবগুলোতেই অংশ নিতে পারছি। আমার জন্য এটা গর্বের এবং আনন্দের। একই সঙ্গে যেহেতু দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি, অনেক ভালো লাগার একটা জায়গা আছে।
‘আমি আর রোহিত শর্মা হয়তো দুজন খেলোয়াড় যারা এই সবগুলো বিশ্বকাপে খেলতে পেরেছে। আশা করব যে আরও একটা বিশ্বকাপ যেন খেলতে পারি। তার আগে এই বিশ্বকাপে যেন পারফরম্যান্সটা ভালো থাকে, বাংলাদেশ যেন অন্যান্য যেকোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের থেকে ভালো ফল করে আসতে পারে।’
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি শুরু হয়েছিল ‘ফান ক্রিকেট’ হিসেবে। এখন খেলার এই ধরনটা ছড়িয়ে পড়েছে বেশ। সাকিব আল হাসানও দুনিয়া জুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি খেলে বেড়িয়েছেন। সবমিলিয়ে ৪০০ বেশি টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নেমেছেন। কীভাবে বদলে যেতে দেখেছেন ফরম্যাটটাকে এমন প্রশ্ন করা হয় এই অলরাউন্ডারকে।
সাকিব বলেন, পরিবর্তনটা দেখি, আমার কাছে মনে হয় ওয়ানডেরই এক্সটেন্ডেড ভার্শন এটা। হয়তো কার্টেল ওভার হলে যেটা হতো সেটাই হয়। অনেক রোমাঞ্চকর, দর্শকরা অনেক পছন্দ করে খেলাটাকে। আমি একটা জিনিসই শুধু ফিল করি, ব্যাট আর বলের যেন সমান কম্পিটিশন এখানে থাকে। যে কোনো এক তরফা যেন টুর্নামেন্টটা না হয়। সাধারণত বিশ্বকাপে কখনও সেটা হয় না। আমি মনে করি, এবারও একই রকম হবে।’
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাকিবের পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই বাস করেন নিউইয়র্কে। তাই সাকিবের দ্বিতীয় হোম বলা হয় যুক্তরাষ্ট্র। তার ‘হোমে’ বাংলাদেশ বিশ্বকাপ কতটা সুবিধা পাবে? প্রশ্ন ছিল সাকিবের কাছে।
বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার বলেন, আমার সেকেন্ড হোম সেটা ঠিক আছে। হোম অ্যাডভান্টেজ পাবে কি না বলাটা মুশকিল। কিন্তু আমার মনে হয় পাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকায় দুইটা জায়গায়ই। এর আগে যখন আমরা ফ্লোরিডায় খেলেছি, ভালো করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও আমরা সবসময়ই ফেভার পাই। কারণ ওই দেশের পিচগুলো অনেকটা আমাদের দেশের মতোই হয়ে থাকে।’