আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের আম্পানে ভেঙ্গে যাওয়া কোলা (৪ নং পোল্ডার) বেড়িবাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী জানান, সুপার সাইক্লোন আম্পানে এলাকা প্লাবিত হওয়ার পর চার মাস অতিবাহিত হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত কোলা বেড়িবাঁধ নির্মাণে জরুরি ভিত্তিতে সরকার ৩৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, বাঁধের বাইরের ¯েøাভ ১৬ ফুট, রাস্তার মাথা ৮ ফুট, ভিতরের ¯েøাভ ১২ ফুট হওয়ার কথা থাকলেও বাইরের ¯েøাভের পূর্বের জমাট বাধা মাটি সরিয়ে দিয়ে ১৬ ফুট ¯েøাভ করা হয়েছে। কোলা ৪ নং পোল্ডারটি অত্যান্ত ভয়াবহ। তিন নদীর মুখ একত্রিত হওয়ার কারণে বেড়িবাঁধ প্রতি বছর ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়ে থাকে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কয়েকদিন পর এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল ও প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন যৌথভাবে কোলা বেড়িবাঁধটি প্রাথমিকভাবে নির্মাণ কাজ শেষ করেন। তখন থেকে অদ্যবধি কোলা ৪ নং পোল্ডার দিয়ে ভিতরে পানি প্রবেশ করেনি। এলাকাবাসির দাবি প্রচন্ড ¯্রােতের সময় বাধটি নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর থেকে লোকালয় আর পানি প্রবেশ করেনি। সরকার ঐ বাধের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৩৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকিতে যে কাজটি হচ্ছে ঐ কাজে বরাদ্দকৃত টাকার আংশিক ব্যয় হবে বলে তারা ধারনা করেন। কারণ চেয়ারম্যান শাকিল ও চেয়ারম্যান জাকিরের সমন্বয়ে যে বাধটি করা হয়েছে তাতে খুব বেশি কাজের আর প্রয়োজন হয় না। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হতে মূল বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আর মাত্র ১ মাস পর মূল বাঁধের কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া বর্তমানে জোয়ারের পানির চাপ ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে। আগের মতো অস্বাভাবিক জোয়ার ও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে না। সব মিলিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকিতে কোলা ৪ নং পোল্ডারের বেড়িবাঁধ নির্মাণের যে কাজটি চলছে তা যেনতেন ভাবে করা হচ্ছে বলে তারা দাবি করেন। ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের আংশিক কোলা ৪ নং পোল্ডার। এই পোল্ডারের বেড়িবাঁধটি এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে চেয়ারম্যান শাকিল এবং আমি প্রাথমিক ভাবে নির্মাণ কাজ করি। সে থেকে আজও কোন জোয়ারের পানি ভিতরে প্রবেশ করেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকিতে যেনতেনভাবে কাজটি সম্পর্ণ করার কাজ চলছে। বরাদ্দকৃত টাকার সিংহভাগ বাঁধ নির্মাণে ব্যবহার করা হবে না বলে তিনি মনে করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলীফ রেজার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি জানি জরুরি ভিত্তিতে কোলা ৪ নং পোল্ডারে বাঁধ নির্মাণের জন্য কাজ চলছে। নীতিমালার বাইরে কোন কাজ হলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও রাব্বি স্যারকে বিষয়টি অবগত করবো। এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা রাব্বি হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জরুরি বাঁধ নির্মাণ করতে কোলা ৪ নং পোল্ডারে সরকার কর্তৃক ৩৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।