জন্মভূমি ডেস্ক : সাভারের আশুলিয়ায় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে আব্দুল কাদের (৫৮) নামে একজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা নাগাদ আশুলিয়ার কুটুরিয়া উত্তরপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নাম আব্দুল কাদের ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তিনি কুটুরিয়া উত্তরপাড়া এলাকার ‘নীট ২০০৭ লিমিটেড’ নামে একটি কারখানায় কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়র জানান, রাত সাড়ে ৩টা নাগাদ একদল ডাকাত আমির দেওয়ান নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে বাড়ির বাসিন্দারা ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির ভিতর থেকে লাইসেন্সকৃত শর্টগান থেকে ডাকাতদের উদ্দেশে গুলি ছোড়ে। এসময় ডাকাতরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। প্রায় ২০/২১ রাউন্ড গোলাগুলির পর আশপাশের বাসিন্দারা এগিয়ে এলে ডাকাতরা পিছু হাটে। এক পর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির সামনে একজন সিকিউরিটি গার্ডকে দেখতে পেয়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। এসময় ডাকাতদের গুলিতে গুরুতর আহত হন পার্শ্ববর্তী কারখানার নিরাপত্তারক্ষী আব্দুল কাদের। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তার মৃত্যু হয়।
ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক আমির দেওয়ান মোবাইলে বলেন, রাতে বাড়ির গ্রীল কেটে ৩ জন ডাকাত আমার ঘরে প্রবেশ করে। পরে আমার ছেলে টের পেয়ে চিৎকার চেচামেচি করলে আশেপাশের লোকজন জড়ো হওয়ার পর ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতরা এক সিকিউরিটি গার্ডকে লক্ষ্য করে গুলি করে, পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এসময় আমির দেওয়ানের বাড়ি থেকে গুলি করা হয়েছিলো কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গুলি ছোড়া হয়েছিলো, কিন্তু কে ছুড়েছে আমি জানি না’।
নীট ২০০৭ লিমিটেড কারখানার মার্কেটিং বিভাগের দায়িত্বে থাকা আশরাফুল ইসলাম বলেন, কারখানার পাশের আমির দেওয়ানের বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ছিলো। এসময় বাড়ির সামনের সিকিউরিটি গার্ডকে দেখে তাকে গুলি করে ডাকাতরা। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
যোগাযোগ করলে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার মো. ইউসুফ বলেন, ভোরের দিকে আব্দুল কাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিলো, অনেকটা ধারালো অস্ত্রের কোপের আঘাতের মত। তবে গুলির মত চিহ্ন আমরা পাইনি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সিনিয়র অফিসাররাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এবিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।