জন্মভূমি ডেস্ক
চলতি মাসের ৫ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত মাত্র ১২ দিনে সড়কে ঝরেছে ৩২০ তাজা প্রাণ। নিহত এবং ৩৬৮ জন আহত হয়েছেন। এদিকে শনিবার (১৬ জুলাই) একদিনেই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৬ জন।
ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেলে ৪১৮টি দুর্ঘটনায় ৫৫ জন নিহত এবং ৩৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর জন্য দ্রæতগতি, নিয়ম না মানা ও হেলমেট ব্যবহারে অনীহাকে দায়ী করা হয়েছে। রোববার সেভ দ্য রোডের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৫৫ জন নিহতের পাশাপাশি ৫১১টি বাস দুর্ঘটনায় ১০২ জন নিহত এবং ৬৩৬ জন আহত হয়েছে। লড়ি, পিকআপ, নসিমন, করিমন, ব্যাটারিচালিত রিকশা, বাইসাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫২৫টি। এতে ৭৯ জন নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৪৩৪ জন।
এ ছাড়া ৫ থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত নৌপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৯৬টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৭ জন, আহত হয়েছেন ১২৭ জন। ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে এবং রেল ক্রসিংয়ে ১২২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ১১ জন নিহত ও ২১২ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার বিষয়ে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’র প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ঈদের আগে সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে পরিমাণ তৎপর থাকে ঈদের পরে তেমনটি থাকে না। যে কারণে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পায় ঈদের পরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি ঈদযাত্রা তো বটেই সা¤প্রতিক সময়ে সড়কে এতো প্রাণহানি আর দেখা যায়নি।
দেশে বেশ কয়েকটি সড়ক মহাসড়ক চার লেন ও ছয় লেনে উন্নীত হয়েছে। এতে সড়কে গতি যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি বেড়ে গেছে দুর্ঘটনার সংখ্যাও। এর দায় চালক, যাত্রী এবং পথচারী সব পক্ষেরই। যদিও তারা দুষছেন একে অপরকে।
সড়কে যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং সলিউশন প্রয়োজন তেমনি ব্যবহারকারীদের আচরণগত পরিবর্তনও জরুরি। পাশাপাশি বাড়াতে হবে, কঠোর নজরদারি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সাইফুন নেওয়াজ বলেন, রাস্তার তৈরির পর সে গতিটা মনিটরিং করার জন্য যে ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং সলিউশন দরকার সেটা দেয়া হয় না। ফলে এতো দুর্ঘটনা ঘটে।
ঈদের ১২ দিনে সড়কে ঝরেছে ৩২০ প্রাণ
Leave a comment